পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > গরমে এই ৫ সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে শিশুদের, অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত
বৈশাখ খেল খেলছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশের অনেক অংশ তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে। গরম যত বাড়ছে, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও তত বেড়েছে। বিশেষ করে, ছোট বাচ্চাদের এই ঋতুতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই, এই সময়ে অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, প্রচণ্ড গরমের কারণে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে হিট স্ট্রোক, ক্লান্তি, জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যাগুলি সাধারণ হয়ে ওঠে। এই কারণেই গ্রীষ্মকালে স্কুল-কলেজও মাস বন্ধ থাকে। এখানে, গ্রীষ্মকালে শিশুরা যে পাঁচটি সাধারণ সংক্রমণে ভোগে সে সম্পর্কে জানুন।
গরমে কোন ৫ সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে শিশুদের
- ১. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ: দূষিত কিছু খাওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালে শিশুদের মধ্যে খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ সাধারণ। শিশুরা বিশেষ করে এই সংক্রমণের জন্য সংবেদনশীল কারণ তারা অপরিষ্কার হাতে যে কোনও কিছু খেয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এড়াতে, বাচ্চাদের ঘন ঘন হাত ধুতে বলুন এবং নোংরা জিনিস থেকে দূরে রাখুন। এছাড়াও খেয়াল রাখবেন যে সে পরিষ্কার জল খাচ্ছে কিনা। এছাড়াও, শিশুদের তাদের দৈনন্দিন রুটিনে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করুন।
- ২. পোকামাকড়ের কামড় এবং হুল: বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে মশা, পিঁপড়ে এবং মৌমাছির মতো পোকামাকড় আরও বেড়ে যায়, শিশুদের পোকামাকড়ের কামড় এবং হুল ফোটানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এই পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে চুলকানি, ফোলাভাব, ব্যথা এবং অ্যালার্জি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, শিশুদের সুরক্ষার জন্য তৈরি পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোনোর সময়, তাদের ফুল-স্লিভ শার্ট এবং প্যান্ট পরতে বলুন। এছাড়াও, যেখানে প্রায়শই জল জমে থাকে, সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- ৩. ছত্রাক সংক্রমণ: সাধারণত গ্রীষ্মকালে প্রচুর আর্দ্রতা থাকে। এছাড়াও, শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এর ফলে ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বগলের নীচে, শরীরের ভাঁজ এবং কুঁচকির অংশে ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ধরনের সংক্রমণ এড়াতে, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। এছাড়াও, পরিষ্কার পোশাক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ৪. তাপজনিত ফুসকুড়ি: গ্রীষ্মকালে গরমের সময় ফুসকুড়ি হওয়া সাধারণ। এটি তাপ ফুসকুড়ি নামেও পরিচিত। এই সমস্যাটি তখন ঘটে যখন আমাদের ঘামের নালীগুলি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে লাল, চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়। শিশুদের ঘাম গ্রন্থিগুলি অনুন্নত থাকায় তাদের তাপ ফুসকুড়ি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, বাবা-মায়েদের উচিত শিশুদের ঢিলেঢালা, শ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী পোশাক পরানো। গ্রীষ্মকালে ছোটদের দিনে দুই থেকে তিনবার স্নান করতে বলুন।
- ৫. রোদে পোড়া: আসলে, শিশুদের ত্বক সংবেদনশীল, যা সহজেই পুড়ে যেতে পারে। রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পেতে, বেশি এসপিএফ সহ সানস্ক্রিন লাগান। তাদের এমন পোশাক পরতে দিন যা তাদের উন্মুক্ত ত্বক ঢেকে রাখে। ব্যস্ত সময়ে বাইরের কার্যকলাপও সীমিত করুন। গ্রীষ্মকাল যেন ছুটি কাটানো এবং মজা করার সময়। এমন পরিস্থিতিতে, অভিভাবকদের জন্য সাধারণ মরসুমি রোগ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া এবং তাদের সন্তানদের সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।