Health Tips: শীতের শেষ, বসন্তের আগমন। আর ঠিক এই সময়েই বাড়বাড়ন্ত বসন্ত রোগের। মাঘ-ফাল্গুনের এই সময়টায় অন্যান্য অসুখের সঙ্গে চিকেন পক্স বা জল বসন্ত দেখা দেয় অনেক বাড়িতে। বর্তমানে রোগটির চিকিৎসা উপলব্ধ রয়েছে। কিন্তু ওষুধের পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখা উচিত। বসন্ত রোগ থাকাকালীন কিছু নির্দিষ্ট খাবার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়া এই খাবারগুলি দ্রুত রোগ থেকে সেরে উঠতেও সাহায্য করে। পক্স হওয়ার পর কিছুদিন শরীর বেশ দুর্বল থাকে। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেই পাতে রাখুন এই সমস্ত খাবার।
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত (Chicken Pox) আদতে কী?
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত আদতে একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। পাশাপাশি এই রোগের ভাইরাস ছোঁয়াছুঁয়ির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। এছাড়াও, এটি বায়ুবাহিত রোগ। অর্থাৎ ছোঁয়াছুঁয়ি না হলেও রোগ ছড়াতে পারে। ভারিসেল্লা ভাইরাসের আক্রমণে এই রোগ হলে বিভিন্ন অঙ্গে জলভরা গুটি দেখা যায়। তরল পদার্থে ভর্তি গুটিগুলিতে প্রচণ্ড চুলকানি হয়। একই সঙ্গে জ্বর আসে। তাই রোগটি হলে রোগীকে আলাদা ঘরে রেখে সুশ্রুষা করার দরকার পড়ে। সবাই রোগীর সুশ্রুষাও করতে পারেন না। সাধারণত যার একবার এই রোগ হয়ে গিয়েছে, তিনি সুশ্রুষা করলেই রোগটি কম ছড়ায়।
আরও পড়ুন - জিন নয়, বেশিরভাগ মানুষের বাঁচামরার হিসেব নাকি এদের হাতেই, চমক গবেষণায়
আরও পড়ুন - শুধু দই না দই ভাত? গরমে অ্যাসিডিটি এড়িয়ে পেট ঠাণ্ডা রাখতে কোনটি খাবেন
কী কী খাবার এই সময় পাতে রাখবেন (Chicken Pox Special Diet)
- ডাবের জল - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। এতে একদিক যেমন ক্যালোরি অনেকটাই কম, তেমনই অন্যদিকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন রয়েছে।
- বিভিন্ন ফল - বিভিন্ন মরসুমি ফল এই সময় বেশি করে খেতে হবে। ফলের মধ্যে রাখতে পারেন আঙুর, কলা, আপেল ইত্যাদি। অনেক সময় ফল চিবিয়ে খেতে ভালো লাগে না। সেক্ষেত্রে ফলের শরবত বানিয়েও খেতে পারেন। পাশাপাশি পাতে থাক ভিটামিন সি-যুক্ত বিভিন্ন ফল।
- সেদ্ধ সবজি - সেদ্ধ সবজির মধ্যে তেল দিতে হয় না। সবজি সেদ্ধ করে থেঁতলে নিয়ে খেতে পারেন।
- দই - পক্স হলে ত্বকের হালও খারাপ হয়ে যায়। তাই দই খেতে পারেন এই সময় নিয়ম করে। এতে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়।
পাঠকের প্রতি - প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এই প্রতিবেদনকে মেডিক্যাল উপদেশ হিসেবে ধরে নেবেন না। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।