ডাভ, ট্রেসেমে-সহ একাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এগুলির ড্রাই শ্যাম্পুতে বেনজিন নামের ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে বলে দবি করা হয়েছে। আর তাই ইউনিলিভারের তরফে বাজার থেকে এগুলি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় অনেকের মনেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তাহলে কি আর ডাভ, ট্রেসেমে-সহ অন্য শ্যাম্পুগুলি ব্যবহার করা যাবে না? এই জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কি ক্যানসার হতে পারে? এই সময়ে জেনে নিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্ট।
- শ্যাম্পু বা কোনও প্রসাধনীকে আলাদা করে সমস্যার বলে জানানো হয়নি। এখানে বলা হয়েছে, এই পণ্যগুলিতে বেনজিন নামের একটি উপাদান রয়েছে। সেই উপাদানটি ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। সেটি ব্লাড ক্যানসারের আশঙ্কা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- সাধারণ শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। সমস্যাটি মূলত ড্রাই শ্যাম্পু নিয়ে। এগুলো স্প্রে বোতলে বিক্রি হয় এবং স্প্রে করে ব্যবহার করতে হয়। এটিতেই সমস্যা। সাধারণ শ্যাম্পু নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি।
- এই প্রথম কোনও প্রসাধনীতে বেনজিন পাওয়া গেল, এমনটাও নয়। এর আগে বহু প্রসাধনীতেই বেনজিন পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা হয়েছে।
- ভারতে এখনও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা ওঠেনি। ইউনিলিভারের তরফে যে ড্রাই শ্যাম্পুর কথা বলা হয়েছে, সেটি আমেরিকায় বিক্রি হয়।
- ভারতে ডাভ বা ট্রেসেমে-সহ অন্যান্য শ্যাম্পু বা ব্র্যান্ড-গুলির অন্য কোনও পণ্য বাতিল কর হচ্ছে না। বিষয়টি এখনও পর্যন্ত আমেরিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
- আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি জানতে পেরেছে এব সেই হিসাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- আমেরিকায় ড্রাই শ্যাম্পু নিয়ে এখনও ততটাও কড়াকাড়ি নেই, যা সাধারণ শ্যাম্পু নিয়ে আছে। সেখানকার শর্তাবলীতে বলা আছে, ড্রাই শ্যাম্পুতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান রাখা যাবে না। কিন্তু বেনজিনের মাত্রা নিয়ে সঠিক ধারণা নেই।
- ভারতে যে কোনও প্রসাধনী কেনার আগেই তাতে কী কী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে, তার তালিকা দেখে নিন। তাতে বেনজিন থাকলে, সেই প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন।
- কোনও প্রসাধনী, সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করে ত্বক, চোখ বা শরীরের অন্য কোথাও সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- কোন জাতীয় প্রসাধনী, শ্যাম্পু বা সাবান আপনার জন্য নিরাপদ তা বিশেষজ্ঞের থেকে ভালো করে জেনে নিন। তার পরেই ব্যবহার করুন।