ডিম, প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস। অথচ অনেকেই রান্নার সময় এমন কিছু ভুল করে ফেলেন যার ফলে ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। পর্যাপ্ত পুষ্টিও পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি ডিম রান্নার সময় এই ৭টি ভুল করেন, তাহলে আজ থেকেই তা শুধরে নিন।
ডিম খাওয়ার সময় কোন ভুলগুলো শুধরে নেওয়া জরুরি
১) ডিম বেশি রান্না করা: অনেকেই ডিম বেশি রান্না করে ফেলেন, যার ফলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই যদি ডিমের কুসুমের চারপাশে সবুজ রঙের আস্তরণ দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে ডিম বেশি রান্না করা হয়ে গিয়েছে। এরই পাশাপাশি কাঁচা ডিম কিংবা অর্ধেক সেদ্ধ খাওয়ার ভুলটিও কখনোই করবেন না। পেটের সংক্রমণ হতে পারে।
২) ডিমের টাটকা কিনা তা পরীক্ষা না করা: ডিম রান্নার আগে অনেকেই এটি টাটকা কিনা, তা পরীক্ষা করেন না। কিন্তু সুস্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ডিম খেতে হলে এটি টাটকা কিনা, তা দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। হামেশা তাজা বা টাটকা ডিমই খান। মনে রাখবেন, ডিম বাসি হলে এর স্বাদও কম ভালো হবে এবং পুষ্টিও কম হবে।
আরও পড়ুন: (Maha Shivratri 2025: মহাশিবরাত্রির দিন ভগবানকে নিবেদন করুন ভাঙ পকোড়া! জানুন রেসিপি)
৩) ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা: অধিকাংশ লোক ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। ফ্রিজের দরজা সারাদিন খোলা থাকে এবং এখানে রাখা জিনিসপত্রের তাপমাত্রা কম-বেশি হতে থাকে। দরজায় ডিম রাখলে এর তাপমাত্রা একরকম থাকে না এবং ডিম দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪) ডিম ধোওয়া: বাজার থেকে ডিম আনার পর যদি আপনি তা ধুয়ে ফেলেন, তাহলে এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রকৃতপক্ষে, ডিমের উপর একটি ন্যাচারাল আস্তরণ থাকে যা এটিকে বাইরের ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। জল দিয়ে ধুলে এই আস্তরণটি উঠে যায় এবং ডিম দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই একমাত্র ডিম ব্যবহার করার আগে ধুয়ে নিন। যাতে এর প্রাকৃতিক আস্তরণটি থেকে যায় এবং ডিম দ্রুত নষ্ট না হয়।
৫) সরাসরি প্যানে ডিম ভাঙা: ডিম সরাসরি প্যানে বা রান্নার পাত্রে ভাঙা উচিত নয়। কারণ ডিমের খোসার উপর ব্যাকটেরিয়া থাকে। যদি ডিমের ছোট্ট একটি কণাও খাবারে চলে যায় এবং এই ব্যাকটেরিয়া পেটে চলে যায়, তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: (Bizarre: একটি মাত্র চাল থেকে তৈরি তৈরি গড়জিলা! রুশ গয়নাশিল্পীর অসাধারণ কীর্তি)
৬) ফাটা ডিম ব্যবহার করা: কখনোই হালকাভাবে ফাটা ডিম অনেক দিন রেখে ব্যবহার করবেন না। কারণ ফেটে গেলে এর ভিতরে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত শোষিত হয় এবং এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।
৭) অতিরিক্ত তেলে ভাজা: ডিম রান্নার সময় অতিরিক্ত তেলে ভাজবেন না। এতে ডিমের পুষ্টিগুলি নষ্ট হতে থাকে। ডিম কম তেল দিয়ে বা সেদ্ধ করে রান্না করুন। যাতে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।