
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
দীপান্বিতা কালীপুজোর দিনে অলক্ষ্মী বিদায়ের পুজো হয় অনেকের বাড়িতেই। মূলত ‘ঘটিদের পুজো’ বলেই প্রচলিত এই পুজো। তবে এই পুজোর একটি বিশেষ রীতি আছে, সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। তা হল শুকতারাকে বরণ করা। কী সেই রীতি?
তার আগে বলা যাক, সুখসুখির কথা। এখন ধীরে ধীরে এই সুখসুখির গল্প অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও অনেকে পুরনো রীতি মেনে আজও অলক্ষ্মী বিদায়ের পুজোর সময়ে সুখসুখির পুজো করেন। চালের গুঁড়ো দিয়ে বানানো হয় সুখ এবং সুখির দুটো ছোট্ট মূর্তি। বংশ পরম্পরায় এই রীতি চলে আসে কোনও কোনও পরিবারে। কারা এই সুখসুখী? সে কথাও স্পষ্ট করে জানা যায় না। অনেকেরই বিশ্বাস এটি হল লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি। অলক্ষ্মী বিদায়ের আগে পুজো করা হয় তাদের।
(আরও পড়ুন: অলক্ষ্মী বিদায়ের পুজো শুরু কখন? কটার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে? জেনে নিন)
অন্য একটি বিশ্বাসও আছে। চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি দু’টি মূর্তি পুজোর বিষয়টিকে অনেকে আবার বলেন, একটি লক্ষ্মীর মূর্তি, অন্যটি অলক্ষ্মীর। তবে লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি হিসাবেই এটি বেশি পরিচিত।
অলক্ষ্মী বিদায়ের পুজোর সময়ে এই সুখসুখির পুজো করা হয়। তার জন্য জ্বালানো হয় ২১ প্রদীপ। সেই ২১ প্রদীপ দিয়ে তাদের বরণ করার পরে সেগুলি নিভিয়ে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলির কাজ শেষ হয়ে যায় না। কাজ থাকে পরের দিনে ভোরে।
(আরও পড়ুন: দান শুভ ফল দেয় কিন্তু দীপাবলিতে ভুলেও করবেন না এগুলি দান, ঘরে আসবে অলক্ষ্মী)
কী হয় সেই সময়ে? পরের দিন ভোরে ফের জ্বালানো হয় ওই ২১ প্রদীপ। সেগুলি দিয়ে আকাশের উত্তর পূর্ব কোণে থাকা শুকতারাকে বরণ করা হয়। এটি করার পরেই সম্পূর্ণ হয় অলক্ষ্মী বিদায়ের পুজো।
বহু ‘ঘটি’ বাড়িতে আজও এই রীতি মেনে পুজো করা হয়। তবে কালের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে এই রীতি এখন অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports