কোভিড টিকার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এই টিকা মর্টালিটি বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে। সম্প্রতি দিল্লি এইমসের এক চিকিৎসক এমনটাই জানালেন। দিল্লি এইমসের পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার এবং স্লিপ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ করণ মদন বলেন কোভিড টিকার সঙ্গে হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যুর কোনও স্পষ্ট সম্পর্ক এখনও পাওয়া যায়নি।
কেন এই মন্তব্য?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া একটি গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন। কোভিড টিকার সঙ্গে হঠাৎ কম বয়সে হৃদরোগে মৃত্যুর কোনও যোগ রয়েছে কি না সেই দিকটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর নেপথ্যে অবশ্য রয়েছে হৃদরোগে ২১টি মৃত্যুর ঘটনা। সম্প্রতি ওই রাজ্যে তরুণদের মধ্যে হৃদরোগে হঠাৎ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত এক মাসে কর্ণাটকের হাসান জেলায় মারা গিয়েছে ২১ জন। এই ঘটনার পরেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এই নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন - ত্বকে এই ৪ সমস্যা দেখা দিচ্ছে? চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও সারিয়ে ফেলা যায়, রইল টিপস
ঠিক কী বলল দিল্লি এইমস?
এই দিন দিল্লি এইমসের চিকিৎসক করণ মদন বলেন, ‘কোভিড টিকাগুলি যথেষ্ট কার্যকর টিকা ছিল। মৃত্যুহার কমাতে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কোভিড অতিমারী চলাকালীন টিকাগুলিই জীবন বাঁচানোর একমাত্র সম্ভাব্য ব্যবস্থা ছিল। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপর টিকা ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত টিকাগুলি নিয়ে গবেষণা এর মধ্যেই হয়েছে। হঠাৎ হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও স্পষ্ট সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন - বাড়িতে জলের জাগ বা বোতল এভাবে রাখেন? জলের মতো টাকা বেরিয়ে যাবে এই দোষেই
চারজনের বয়স ২০ বছরের কম
স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, হাসান জেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজনের বয়স ২০ বছর বা তার কম ছিল। একজনের বয়স ২১-২৯ বছর, পাঁচজনের বয়স ৩০-৪০ বছর, সাতজনের বয়স ৪১-৫৯ বছর এবং একজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি ছিল। সিদ্দারামাইয়ার নির্দেশের পর জয়দেব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের চিকিৎস সিএন রবীন্দ্রের একটি দল হৃদরোগে মৃত্যুর কারণ খুঁজতে এই গবেষণাটি করবে।