হিন্দি ছবির দর্শকদের কাছে সুপরিচিত নাম সুপ্রিয়া পাঠক। কমেডি হোক কিংবা ধূসর সবরকম চরিত্রেই নিজের জাত নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। চার দশকের ওপর সময় ধরে বলিউডে কাজ করা এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছেন 'কলিযুগ','মির্চ মসালা','বাজার', 'সাংহাই','রাম লীলা' এর মতো সব সুপারহিট ছবি। ছোটপর্দাতেও একসময় ভূয়সী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন সুপ্রিয়া। সৌজন্যে 'খিচড়ি','ইধার উধার' এর মতো একসময়ের জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান।সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানিয়েছেন বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক বেশি এবং নানান ধরণের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়া যায়। 'এমনকি আজকাল যুবতী ও অল্পবয়সী অভিনেত্রীদের কাছেও কী দারুণ সব চরিত্র লেখা হচ্ছে। আমাদের সময় সেসব ছিল মাত্র কয়েকটি হাতে গোনা। সুতরাং আমরা সবাই আশা নিয়ে বসে থাকতাম কবে আসবে এই অন্য ধরনের সেসব চরিত্র। নয়া প্রজন্মের পরিচালকরা যে ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসেন তাতে যারপরনাই খুশি আমি। একেকসময় আমার তো এও মনে হয় বয়স বাড়াটা আমার কাছে আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করছে', সহজ স্বীকারোক্তি সুপ্রিয়ার।এই 'পরিবর্তন'-এর অন্যতম কারণ হিসেবে ভারতীয় সমাজে গ্লোবাইলেজেশনের প্রভাবকেই দায়ী করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। 'দর্শকের রুচিতে আন্তর্জাতিক মনোভাব প্রকাশ পাওয়াতেই ছবির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকাররা অন্য ধরনের, অন্য স্বাদের গল্প লিখতে পারছেন, ছবি তৈরিতে হাত দিতে পারছেন। তার দলে লাভবান হচ্ছি আমরাও। এখন ছবিতে যে ধরনের মায়ের চরিত্র দেখা যায় তা অনেক বেশি আধুনিক এবং সময়োপযোগী। আমাদের সময় এমনটা এতটাও দেখা জেট না ছবিতে। আসলে, বর্তমান সমাজ জোট পাল্টেছে স্বাভাবিকভাবে ততটাও পাল্টেছেন মায়েরাও। তার ছাপ পড়েছে সিনেমায় ', জানালেন সুপ্রিয়া।অবশ্য বক্তব্য শেষে আক্ষেপই শোনা গেছে তাঁর গলায়। অভিনেত্রীর সংযোজন,' ছবির ক্ষেত্রে এখনও আমরা পিসিয়ে আছি বেশ খানিকটা। আরও দারুণ সব ছবি বানাতে হবে। বড় করে ভাবতে হবে। শুধুমাত্র যে সমাজে বাস করছি সেটুকু ভাবলে হবে না। আশা কথা আজকাল তা ভাবাও হচ্ছে না।'সাম্প্রতিক সময় ফারহান আখতার অভিনীত 'তুফান' ছবিতে নার্স ডি'সুজার চরিত্রে সুপ্রিয়াকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছে দর্শক। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ছবি সমালোচকের দলও।