গানের শো করতে গিয়ে এক তরুণীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। চুমুকাণ্ডে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন উদিত নারায়ণ। সেই বিতর্ক কিছুটা থিতিয়ে যেতেই এবার আইনি বিপাকে জড়ালেন গায়ক। এবার তাঁর বিরুদ্ধে খোরপোশ সংক্রান্ত অভিযোগ এনেছেন উদিত নারায়ণের প্রথম স্ত্রী রঞ্জনা ঝা।
রঞ্জনা ঝা-র অভিযোগ তাঁকে তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিহারের সুপৌল পারিবারিক আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন উদিত নারায়ণ। তবে তিনি এই অভিযোগের মীমাংসার পরিবর্তে রঞ্জনার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। গায়কের দাবি, রঞ্জনা তাঁর থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
যদি এই মামলায় আগেও বিপাকে পড়েছিলেন গায়ক। বিহারের মহিলা কমিশনেও তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে তখনই সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কারণ তখন দু-পক্ষ মীমাংসার পথে হেঁটেছিলেন।
সেই মামলা থেকে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী রঞ্জনা ঝাকে আগে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দিতেন উদিত। ২০২১ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ হাজার। এছাড়াও প্রথম স্ত্রীকে চাষের জন্য একটি জমিও দিয়েছিলেন উদিত নারায়ণ। সঙ্গে দিয়েছিলেন ১ কোটি টাকার একটি বাড়ি এবং ২৫ লক্ষ টাকার গয়না। এসবই সেসময় জেনেছিল মহিলা কমিশন। যদিও সেই গয়না নাকি বিক্রি করে দেন রঞ্জনা ঝা।
আরও পড়ুন-‘আমার কৌতুকরস একদিন হয়তো আমায় জেলে পাঠাবে…’ আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন রণবীর?
এদিকে রঞ্জনা ঝা তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর বাকি জীবনটা উদিত নারায়ণের সঙ্গেই থাকতে চান। বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এদিকে আবার আদালতের বাইরে সংবাদ-মাধ্যমের কাছে রঞ্জনার অভিযোগ করেন, তাঁর গায়ক স্বামী তাঁকে উপেক্ষা করছেন এমনকি তাঁর জমি বিক্রির টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রঞ্জনার অভিযোগ ছিল তিনি মুম্বই গেলে তাঁর পিছনে দুষ্কৃতী পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে দীপা গহত্রাজকে বিয়ে করেছিলেন উদিত নারায়ণ। তিনিও একজন গায়িকা। দীপা আদপে নেপালের মেয়ে, তিনি মুম্বই এসেছিলেন গায়িকা হতেই। সেই সূত্র ধরেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় উদিতের। বিয়ের পরবর্তী সময়ে তাঁদের এক সন্তানও হয়, যাঁর নাম আদিত্য নারায়ণ। তিনিও বর্তমানে বলিউডের সুপ্রতিষ্ঠিত গায়ক এবং সঞ্চালক।