সোশ্যাল মিডিয়ায় টলিপাড়ার যে ক'জন হাতে গোনা স্টারকিড হামেশাই আলোচনায় থাকেন তাঁর অন্যতম অন্বেষা। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা ইনস্টাগ্রামে বেজায় অ্যাক্টিভ। গ্ল্যামারে একে অপরকে টেক্কা দেন মা-মেয়ে। অন্বেষা কখনও বিকিনিতে ছবি দেন, তো কখন প্রেমিককে আগলে। হ্যাঁ, নিজের লাভ লাইফ নিয়ে খুল্লমখুল্লা এই তারকা কন্যা।
ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব স্বস্তিকা। বিয়ে, প্রেম, অভিনয়— সব নিয়েই বরাবর অকপট স্বস্তিকা। মায়ের মতোই রাখঢাকহীন অন্বেষা। আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে সাইকোলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে সে। অভিনয়ের প্রতি কোনও টান নেই তাঁর। পরিবারের পরম্পরা বজায় রাখে বিন্দুমাত্র আগ্রহীও নন অন্বেষা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্সদের যেমন খুশি প্রশ্ন করার ছাড় দিয়েছিলেন স্বস্তিকার মেয়ে। সেখানেই উড়ে এল একাধিক অশালীন প্রশ্ন। একজন তো অন্বেষার সেক্স লাইফ নিয়েই করে বসে প্রশ্ন! ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন অন্বেষা, দিলেন মোক্ষম জবাব।
প্রশ্ন ছিল, ‘একটু বল তো তোমার চরম যৌন ফ্যান্টাসি কী?’ অন্বেষা লেখেন- ‘তুমি ভালোভাবেই জানো নিজেকে, এক কাজ করো নিজের জন্য একটা ভালো শখের পেশা খুঁজে নাও’। অপর এক নেটিজেন স্বস্তিকা কন্যার কাছে জানতে চায়, ভবিষ্যতে কি অভিনয়ের জগতে পা দেবেন তিনি? খানিক রেগেই অন্বেষা জানায়- ‘তোমাদের কী মনে হয় আমি এত কষ্ট করে এখানে UK-তে এসেছি পড়াশোনা করতে, কলকাতা ফিরে গিয়ে অভিনেত্রী হব বলে? বাহ! কী মনে হচ্ছে এখানে আমি বেড়াতে এসেছি?’

অন্বেষার জবাব
অন্বেষা আরও জানান, স্কলারশিপের টাকায় নয়, নিজের টাকা খরচ করেই বিদেশে পড়াশোনা করছেন তিনি। এর আগে মুম্বইয়ের এক কলেজে সাইকোলজি নিয়ে অনার্স করেছেন স্বস্তিকা কন্যা। কলকাতা ছেড়ে কেন অন্যত্র পড়াশোনা? এমন প্রশ্ন করা হলে তাঁর স্পষ্ট জবাব- ‘পশ্চিমবঙ্গের মহান কলেজ গুলোতে সাইকোলজি অনার্স পড়ার উপযুক্ত সংখ্যক আসন নেই, নয়তো কোর্সই নেই’।
প্রসঙ্গত, কলকাতার ছেলে শ্লোক চন্দনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ অন্বেষা। স্নাতকোত্তর পড়তে বিদেশে থাকায় মায়ের পাশাপাশি শ্লোককেই সবচেয়ে বেশি মিস করেন অন্বেষা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা মাঝেমধ্যেই ব্যক্ত করেন।
স্বস্তিকা ও প্রমিত সেনের একমাত্র মেয়ে অন্বেষা। বাবা-মার ডিভোর্সের পর মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। মেয়েকে নিজের মতো করে বড় হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন স্বস্তিকা। বেছে নিতে দিয়েছেন পছন্দের কেরিয়ার। মেয়েই তাঁর সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম হামেশা নিজের মুখে সে কথা জানান অভিনেত্রী।