গত সপ্তাহে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে সইফ আলি খানের ‘তাণ্ডব’। মুক্তির পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিচালক আলি আব্বাস জাফরের এই ওয়েব সিরিজ। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সিরিজের মাধ্যমে হিন্দু দেবতাদের অপমান করা হয়েছ। বিতর্কের জল গড়ায় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক পর্যন্ত। রবিবার রাতে কেন্দ্রের তরফে সমন জারি করে জাবাবদিহি চাওয়া হয় আমাজন প্রাইমের কাছে। মঙ্গলবার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন নির্মাতারা। তবে বিতর্ক থামেনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সাফ বার্তা, পরিচালক আলি আব্বাস জাফর, সইফ আলি খান, হিমাংশু মেহরা, গৌরব সোলাঙ্কিরা যেন তৈরি থাকেন। তাঁরা যা করেছেন তার ফল ভুগতে হবে। হিন্দু ধর্মকে যাঁরা অপমান করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে যোগী প্রশাসন, জানান যোগী সরকারের মুখপাত্র। শাবাভমানি ত্রিপাঠি টুইটারে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সব রকম আইনি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যেন তৈরি থাকেন তাঁরা। লখনউয়ের হজরতগঞ্জ পুলিশ থানায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে পরিচালক আলি আব্বাস জাফর ও লেখক গৌরব সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে। ইউপি পুলিশের তরফে ভারতের আমাজন প্রাইম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চার সদস্যের পুলিশ টিম ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে পৌঁছেছে, বিষয়টির বিস্তারিত তদন্ত করতে। অন্যদিকে পরিচালক আলি আব্বাস জাফর সহ গোটা ‘তাণ্ডব’ টিম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ওয়েব সিরিজ ‘তাণ্ডব’ কল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। কোনও ব্যক্তি এবং অভিনয় এবং ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য পুরোপুরি কাকতালীয়। কলাকুশলীদের কারোরই আলাদা করে কোনও ধর্ম, ব্যক্তি, সম্প্রদায়, রাজনৈতিক কোনো দল অথবা ব্যক্তি, জীবিত বা মৃত কাউকে আঘাত আনার উদ্দেশ্য ছিল না। তাণ্ডবের অভিনেতা ও কলাকুশলীরা জনগণের উদ্বেগ প্রকাশ এবং ভাবাবেগে আহত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেন এবং নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইলেন সকলের কাছে। এই সিরিজে সইফ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে সুনীল গ্রোভার, ডিম্বল কাপাডিয়া, গওহর খান, কৃতিকা কামরারা।