মেয়ে অন্তপ্রাণ স্বস্তিকা। বহুবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা দু’জনে একসঙ্গেই বড় হয়েছি'। কলেজে পড়ার সময়ই কোলে এসেছিল অন্বেষা। টেকেনি প্রমিত সেনের সঙ্গে বিয়ে। মেয়েকে সামলেই কেরিয়ার গড়েছেন একা মা স্বস্তিকা। অন্বেষার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। মা-কে সর্বদা আগলে রাখেন অন্বেষা। আরও পড়ুন-মেয়ের মনোকিনি ‘চুরি করে’ পরলেন স্বস্তিকা! স্নানপোশাকে মা'কে দেখে কী বলল অন্বেষা
এখন অবশ্য মায়ের থেকে অনেকটা দূরে টলিপাড়ার এই স্টারকিড। স্বস্তিকা মানেই অকপট, অনায়াস। মায়ের মতোই স্পষ্টবক্তা ২৪ বছর বয়সী অন্বেষা। দীর্ঘদিন ঘরছাড়া অন্বেষা। মুম্বই থেকে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে সাইকোলজি নিয়ে মাস্টার্স করছেন। পড়াশোনার ফাঁকে ঘুরে বেড়াতে দারুণ ভালোবাসেন, সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করতে।
সম্প্রতি বিদেশের এক নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে নাইট আউট করতে দেখা গেল অন্বেষাকে। ডিপনেকের ককটেল ড্রেসে উন্মুক্ত অন্বেষার বক্ষবিভাজিকা। বোল্ড অবতারে ঘায়েল করলেন স্বস্তিকা কন্যা।
জানলে অবাক হবেন অন্বেষার অভিনয়ের প্রতি কোনও টান নেই। ভুলেও দাদু বা মায়ের পথে হেঁটে অভিনয়ের জগতে আসবেন না তিনি, স্পষ্ট জানিয়েছেন সে কথা। একবার এক নেটিজেন স্বস্তিকা কন্যার কাছে জানতে চায়, ভবিষ্যতে কি অভিনয়ের জগতে পা দেবেন তিনি? বেশ বিরক্তির সুরে স্বস্তিকার মেয়ে জানিয়েছিলেন, ‘তোমাদের কী মনে হয় আমি এত কষ্ট করে এখানে UK-তে এসেছি পড়াশোনা করতে, কলকাতা ফিরে গিয়ে অভিনেত্রী হব বলে? বাহ! কী মনে হচ্ছে এখানে আমি বেড়াতে এসেছি?’
কলকাতার ছেলে শ্লোক চন্দনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ অন্বেষা। হবু জামাইয়ের সঙ্গে দারুণ বন্ডিং স্বস্তিকার। একসঙ্গে তিনজনের আড্ডাও জমে। স্বস্তিকা ও প্রমিত সেনের একমাত্র মেয়ে অন্বেষা। বিয়ের দু-বছরের মাথায় স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন, তবে আজও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি নায়িকার। বাবা-মার বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। একা হাতেই মেয়েকে মনুষ করেছেন অভিনেত্রী।
মেয়েকে নিজের মতো করে বড় হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন স্বস্তিকা। বেছে নিতে দিয়েছেন পছন্দের কেরিয়ার। মাসখানেক আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অন্বেষার আপোসহীন মেজাজ নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার মধ্যে যে সত্ত্বা রয়েছে ওর মধ্যে সেগুলো আরও বেশি করে থাকা উচিত। পৃথিবী যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নেওয়াটা জরুরি। আমি ওর বয়সে ওতো গুছানো ছিলাম না। সময় এগিয়েছে, অনেক বদল এসেছে। নিজের যা ঠিক মনে হবে সেটা করাটা জরুরি। তাছাড়া মায়ের সব বারণ শোনবার বয়সও ওর নেই।’