টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরে হেয়ার স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ করা মহিলা শিল্পীর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় টলিউডে। মারা যাওয়ার আগে এই মহিলা যে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন, তাতে দাবি করা হয়, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। ফলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অসমর্থ হচ্ছিলেন। তাই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
ইতিমধ্যেই স্বস্তিকা থেকে শুরু করে, সুদীপ্তা, ইমনরা মুখ খুলেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে চলা ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে। এবার মুখ খুললেন শ্রীলেখা মিত্র।
সৌরভ দত্ত নামে একজনের পোস্ট শেয়ার শ্রীলেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘আমাকেও কি তাহলে আত্মহত্যা করে প্রমান করতে হত .....সেই দিনের ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর… তনুশ্রী তুমি একা নও, শর্টকাট নিও না। সবার আসল চেহারা বুঝিয়ে দাও। সেরে ওঠো।’
আর সৌরভের যে পোস্ট তিনি শেয়ার করেন তাতে লেখা, ‘ষড়যন্ত্র করে দীর্ঘদিন কাজ না দেওয়ায়, আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন টলিউডের হেয়ার ড্রেসার। প্রমাণ হল যে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর, শ্রীলেখা মিত্র টলিউড সম্পর্কে সঠিক অভিযোগ করেছিলেন। তনুশ্রী মরতে যাওয়ার আগে অবধি কিন্তু এই নৃশংস অত্যাচারের ব্যাপারে ঘুমিয়ে ছিল।’
এখানেই শেষ নয়, শ্রীলেখা মিত্র আত্মহত্যা করতে যাওয়ার আগে যে চিঠি লেখেন অভিযোগকারিণী, তাও শেয়ার করে নিয়েছেন। লিখেছেন, ‘তনুশ্রীর সুইসাইড নোট। দায় কে বা কারা নেবে? তনুশ্রীর মতো এরকম অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যে বা যারা দিনের পর দিন কাজ পাচ্ছে না। এরা সামান্য কিছু টাকা পায় রোজের ভিত্তিতে, এরা কার দ্বারস্থ হবে?’
জানা যাচ্ছে, কেশসজ্জা শিল্পী মে নাগাদ মাস তিনেকের জন্য গিল্ড থেকে সাসপেন্ড হন। কিন্তু তারপর কাজে যোগ দিলেও, নির্দেশ ছিল তিনি নিজে কাজ জোগাড় করতে পারবেন না। রবিবার মৈনাক ভৌমিকের আগামী ছবির লুক সেট ছিল। যে কাজ জোগাড়করেছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর কাছে ফোন আসে, গিল্ড থেকে বলা হয়েছে তাঁকে যেন কাজটি না দেওয়া হয়। এর পর তিনি (অভিযোগকারিনী) যোগাযোগ করেন ফেডারেশন সম্পাদকের সঙ্গে। সেখান থেকেও বলা হয়, গিল্ড ফোন করে তাঁকে অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরেই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই মহিলা শিল্পী।