সম্প্রতি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্বামী রাজীব বিশ্বাসকে দেখা গেল অভিনেত্রীরই ছবির প্রিমিয়ারে। একসময় হিটের পর হিট দেওয়া রাজীবকে আজকাল সেভাবে দেখা যায় না। আর তাই ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’-র প্রিমিয়ারে রাজীবকে পেতেই ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা।
সেখানে রাজীবকে প্রশ্ন করা হয়, প্রাক্তন বউয়ের কোন সিনেমাটি শেষ দেখেছেন? তাতে পরিচালক অকপটেই বললেন, ‘শ্রাবন্তীর শেষ সিনেমা দেখেছি? আমার ছবিই দেখেছি হয়তো। না সেভাবে দেখা হয়নি। এইএটা দেখব। আমার ছবি যেগুলো ছিল, ইডিয়ট বা মজনু বা বিন্দাস অবধি দেখেছি। তারপর দেখা হয়ে ওঠেনি হয়তো।’
এরপর যখন রাজীবকে প্রশ্ন করা হয়, শ্রাবন্তীর সঙ্গে কথা হয় কি না, তাতে জবাব আসে, ‘সেইভাবে যোগাযোগ নেই। অন্যভাবে যোগাযোগ আছে। আমার ছেলের সঙ্গে…’। তবে শ্রাবন্তীর সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করার সুযোগ এলে করবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে রাজীব স্পষ্ট করেন, ‘একদম করব। আমি নিশ্চিত ভালো কাজ হলে ও (শ্রাবন্তী) নিজেও কোনো আপত্তি করবে না।’
অভিনয়ে পা রাখতে না রাখতেই, রাজীবের প্রেমে পড়েন শ্রাবন্তী। আর এরপর মাত্র ১৬ বছর বয়সে ২০০৩ সালে ভালোবেসে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেন তিনি। আর বিয়ের পরপরই জন্ম ছেলে ঝিনুক ওরফে অভিমন্যুর। তবে গোছানো দাম্পত্যের তাল কাটে ২০১৬ সাল নাগাদ। ভেঙে যায় শ্রাবন্তী রাজীবের সাজানো সংসার। এরপর ২০১৬ সালে কৃষাণ আর ২০১৯ সালে রোশানের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়ান শ্রাবন্তী। আপাতত তিনি ডিভোর্সি। ২০২৫-এই আইনিভাবে আলাদা হয়েছেন রোশনের থেকে।
তবে রাজীব আর দ্বিতীয়বার বসেননি পিঁড়িতে। এমনকী, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথাও বলেন না। এমনকী, এক পুরনো সাক্ষাৎকারেও শ্রাবন্তীকে নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে গেলেও, ছেলে ঝিনুককে নিয়ে বলেছিলেন, ‘শনি-রবিবারের ছুটিতে ও আমার কাছে আসে। সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়। ওকে বলেছি ধারাবাহিকে আমার সঙ্গে কাজ করিস না (তখন আলোর ঠিকানা নামে একটি ধারাবাহিক বানাচ্ছিলেন রাজীব), কারণ সারা দিনের পরিশ্রম তুই নিতে পারবি না। আমি ছবি তৈরি করলে আমাকে অ্যাসিস্ট করিস।’
রাজীবের শেষ কাজ ছিল ২০২১ সালের প্রতিঘাত। যে সিনেমায় ছিলেন সোহম চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকাররা। ছবির প্রযোজক ছিলেন সুরিন্দর ফিল্মস। এরপর বাংলাদেশের একটি প্রোজেক্টে দেখা যায় রাজীবকে। ২০২২ সালে তৈরি করেন 'মেড ইন চিটাগঙ্গ'।