গুরুতর অসুস্থ ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বর্ষীয়ান সংগীত শিল্পীর। রয়েছে জ্বর, শ্বাসকষ্ট। বুধবারই করোনা পরীক্ষা করা হয় ৯০ বছর বয়সী গায়িকার, তবে এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। এদিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন গায়িকার পরিবারকে, এবং কোনওরকম সময় নষ্ট না করে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তির কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এদিন লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে গ্রিন করি়ডোরের মাধ্যমকে দুপুর ১টা ২০ নাগাদ এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয় গায়িকাকে। এসএসকেএমে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। উডবার্নের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার রাত থেকেই ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেননি শিল্পী। বাড়ছিল জ্বর। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই বাড়িতে রেখে নয়, বরং হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্সার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফুসফুসের সংক্রমণ রয়েছে। তার উপর গতকাল (বুধবার) বাড়িতে পড়ে যান বর্ষীয়ান গায়িকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন, এসএসকেএমে হাজির হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন বর্ষীয়ান গায়িকা। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মোদী সরকারের তরফে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে 'পদ্মশ্রী' সম্মান দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল, যদিও সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন সন্ধ্যা দেবী।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় পরিবার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছিলেন, ‘দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিবালয় থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর মতো একজন বর্ষীয়ান শিল্পীর জন্য পদ্মশ্রী সঠিক সম্মান নয়। তাঁর থেকে অনেক কম বয়সী শিল্পীরা এই সম্মান পেয়েছেন। সুতরাং এখন যদি তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে তা অপমানিত বৈ অন্য কিছু হবে না। সুতরাং তাঁর আর পদ্মশ্রীর কোনও দরকার নেই। শ্রোতাদের প্রশংসাই তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।’