ইমন বলেন, ‘আমার জীবন নয়ছয় করার অধিকার আমার নেই, কারণ আমার জীবনটা তাঁর হাতে। আমার বাবা-মা আর ঈশ্বর ছাড়া আমার জীবন নয়ছয় করার অধিকার অন্য লোকের তো নেই-ই, আমার নিজেরও নেই। তাই সবার আগে নিজের যত্ন করো, তারপর অন্যলোকের যত্ন করবে।’ এরপর ফের গান ধরলেন ইমন।
সালকিয়ায় বড়ো মায়ের মন্দিরে ইমন
তিনি জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়িকা। তাঁর গান শুনতে, টিকিট কেটে দূর থেকে ছুটে আসেন বহু অনুরাগী। আর এবার সেই ইমন চক্রবর্তীকেই দেখা গেল একটু অন্যভাবে, একটু অন্যরূপে। ইমনের গলায় শোনা গেল রামপ্রসাদের শ্যামা সঙ্গীত।
অনুষ্ঠানস্থল সালকিয়া বড়ো শীতলা মায়ের মন্দির। সেখানেই ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যেয় পরনে ছিমছাম হলুদ শাড়ি, গায়ে আঁচল ঢাকা দিয়ে হাজির হন গায়িকা ইমন। মাতৃমূর্তির সামনে বসে ইমন গাইলেন ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না/ এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা’। গান গাইতে গাইতেই ইমন বলে উঠলেন, ‘আমাদের ভগবান এত সুন্দর একটা জীবন দিয়েছেন, আর সেই জীবনটাই যদি আমরা মানব জমিন ধরি, যদি জমিই ধরি। তাহলে আমরা কি সত্যিই সেটার সঠিক বিচার করতে পারি! কত অন্যায় করি, কত নয়ছয় করি নিজেদের জীবন নিয়ে।’
ইমন বলেন, ‘আমার জীবন নয়ছয় করার অধিকার আমার নেই, কারণ আমার জীবনটা তাঁর হাতে। আমার বাবা-মা আর ঈশ্বর ছাড়া আমার জীবন নয়ছয় করার অধিকার অন্য লোকের তো নেই-ই, আমার নিজেরও নেই। তাই সবার আগে নিজের যত্ন করো, তারপর অন্যলোকের যত্ন করবে।’ এরপর ফের ইমন গান ধরলেন,'অদ্য অব্ দ-শতান্তে মা, বাজেয়াপ্ত হবে তা জান না…'।