জি বাংলার গানের রিয়েলিটি শো সারেগামাপা বরাবরই দর্শকদের মনে খুব পছন্দের। অডিশন রাউন্ড থেকেই এবারের সিজন সুপার হিট। সম্প্রতি দেখা গেল, সেখানে অংশ নিতে আসা প্রতিযোগী সুস্মিতা সরকারের কথা বলতে গিয়ে আবেগে গলা বুজে এল শো-এর সঞ্চালক আবির চট্টোপাধ্যায়ের।
আবির বললেন, ‘সুস্মিতা আমার পাড়ার মেয়ে। ওর মাকে চিনি অনেকদিন ধরে। সুস্মিতার মা আমার শ্বশুরবাড়ির পাড়ায়, যখন আমার বাচ্চা অনেক ছোট, ওর মায়ের কাছে রেখে, আমার কাজটা অনেক সময় সহজ হত। জানতাম ওর মায়ের কাছে আমার বাচ্চা ভালো আছে। তাই নশ্চিন্তে বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারতাম। তাই ওর যে লড়াইটা, তার কিছুটা অংশ হয়তো আমিও।’ অভিনেতার গলায় অনেকটাই ইতস্তত বোধ। হয়তো পরিচয়টা বাধ্য হয়েই দিয়েছেন। সুস্মিতার মা যে কখনও তাঁদের বাড়িতে কাজ করতেন, সেটা মুখে আনতেও আটকাচ্ছিল বারবার। কিন্তু কতটা গর্বিত তিনি, তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল অভিব্যক্তিতে।
আরও পড়ুন: গলায় যেন সরস্বতী! বাবা বিক্রি করে ঝালমুড়ি, সারেগামাপায় সুস্মিতার গানে বুঁদ রাঘব-ইমনরা
সুস্মিতা জানান, আর্থিক অনটনের জন্য ঠিক ভাবে কারও কাছে তালিম নিয়ে উঠতে পারেননি। যাতে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ইমন। জানান, সুস্মিতা যেই শান্তা ম্যামের কাছে গাব শিখতেন, তিনি ইমনের খুব কাছের মানুষ। যদিও তাঁর বিশ্বাস, এরপরআর কখনও আর্থিক অনটন হবে না সুস্মিতার, তাহলে যেন কোনও অসুবিধা হলে সে শান্তা ম্যামের কাছে গিয়ে বলে সেই অনুরোধ করেন। তাহলেই ইমন বাড়িয়ে দেবেন সাহায্যের হাত।
আরও পড়ুন: ‘সবই যখন মিথ্যা, তখন কেন…’! তনুশ্রীর আনা মিটু-র অভিযোগে ফের মুখ খুললেন নানা পাটেকর
এখানেই শেষ হয় না। জোজো কাছে ডেকে আদর করেন সুস্মিতাকে। নিজের কপাল থেকে খুলে লাল টিপ পরিয়ে দেন এই প্রতিযোগীর কপালে। পরামর্শ দেন বড় দিদির মতো, ‘লড়াকু মেয়েরা কখনো কাঁদে না। তুমিও আর কখনো চোখের জল ফেলবে না’।
আরও পড়ুন: জি বাংলার মিঠিঝোরায় নীলুর দিদি রাই, বাস্তবে আরাত্রিকা কত ছোট দেবাদৃতার থেকে?
সুস্মিতার বাবার ঝালমুড়ির দোকান। আসলে দোকান বললেও ভুল হবে, ভ্যানে করেই নিজের ঝালমুড়ি মাখার পসরা সাজিয়ে বেরোন রোজ বাড়ি থেকে। অনেক অভাবের সংসারেও এমন প্রতিভা, নিসন্দেহে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ। সুস্মিতা এদিন গান, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’।