২০১২ সালে বলি তারকা সইফ আলি খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি এক দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দার নাকে মেরে রক্ত বের করে দেন। এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে শনিবার আদালতে নিজের বয়ান দিলেন অভিনেত্রী তথা সইফ আলি খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমৃতা আরোরা।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছিল, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইকবাল মির শর্মা নামে এক দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা কোলাবা থানায় অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে শুধু নবাব পুত্রের বিরুদ্ধে নয়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল অমৃতার স্বামী শাকিল লাদাখ এবং তাঁদের অন্য এক বন্ধু বিলাল অমরোহির বিরুদ্ধেও।
আরও পড়ুন: একদম মানায়নি, 'কেশরি চ্যাপ্টার ২'-তে অনন্যার পরিবর্তে কাকে দেখতে চাইলেন দর্শকরা?
আরও পড়ুন: শ্রীলীলার সঙ্গে আদুরে পোস্ট কার্তিকের, তবে কী এবার দক্ষিণের জামাই হবেন তিনি?
সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল?
অমৃতার কথায়, সেদিন সকল মিলে সেই রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। রেস্তোরাঁর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল একটি আলাদা কক্ষ। সবকিছু ঠিক চলছিল কিন্তু হঠাৎ করে তাঁদের কক্ষে অভিযোগকারী ঢুকে পড়ে। অশ্লীলভাবে কথা বলতে থাকে মহিলাদের সঙ্গে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় সমস্যা।
অমৃতা বলেন, ‘আমাদের কথা বলার জন্য ওঁর সমস্যা হচ্ছিল, তাই সইফ সঙ্গে সঙ্গে ওঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এমনকি ওঁকে একসঙ্গে নৈশভোজ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু কারোও কথায় কোনও পাত্তা না দিয়ে ওই ব্যক্তি ঘর থেকে বেরিয়ে যান এবং ঘরের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। যদিও সেটা প্রথমে কেউই বুঝতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: বিতর্কের রেশ কমতেই ইনস্টাগ্রামে ফিরলেন রণবীর! চেনা ছন্দে ফিরেই লিখলেন, 'ঝড়ের মধ্যেও...'
আরও পড়ুন: 'হীরামান্ডি’র পর প্রশংসার বন্যা বইলেও দীর্ঘদিন পাননি কোনও কাজ! অদিতি বললেন, ‘ভেবেছিলাম এটা আমায়…’
অমৃতা জানান, কিছু সময় পরে যখন সইফ শৌচালয়ে যান, তখন হঠাৎ করে অমৃতা এবং বাকিরা শুনতে পান শৌচালয় থেকে ভেসে আসছে নবাবপুত্রের চিৎকার। সবাই ছুটে গিয়ে দেখে, ওই ব্যক্তিকে সইফ মারধর করছে। সবাই মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে থামান।