পুজোর সময় সদ্যই মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত টেক্কা। বক্স অফিসে বেশ ভালোই ব্যবসা করেছে এই ছবিটি। আর সেই ছবির রেশ ফিকে হয়ে না হতেই প্রকাশ্যে এল অভিনেত্রীর নতুন কাজের খবর। দেখা যাবে অর্ণব মিদ্যার নতুন ছবিতে।
আরও পড়ুন: 'দ্বীপ জ্বেলে যাই'-এর রিমেকের পরিকল্পনা রাইমার! মুখ্য ভূমিকায় কাকে ভাবছেন সুচিত্রা সেনের নাতনি?
রুক্মিণী মৈত্রর নতুন কাজ
রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত নটী বিনোদিনীর ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে কিছুদিন আগেই। ২০২৫ এর একদম গোড়ায় মুক্তি পাবে সেই ছবি। আর তার মাঝেই জানা গেল আগামীতে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে অর্ণব মিদ্যার নতুন ছবি হাঁটি হাঁটি পাপাতে। সেই ছবিতে উঠে আসবে চিরন্তন সম্পর্কের কথা।
নির্মাতাদের তরফে জানানো হয়েছে, হাঁটি হাঁটি পাপা এক চিরন্তন ভালোবাসার গল্প। তবে সে ভালোবাসা সমবয়সী নারী পুরুষের প্রেম নয়! বরং প্রেমের সম্পর্কের বাইরেও যে প্রতিটা সম্পর্কেই গভীর এক আত্মিক টান, দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকে সেই ভালোবাসার কথা বলবে হাঁটি হাঁটি পাপা। যে সম্পর্কগুলো সৃষ্টির আদি থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের সবার জীবনে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অথচ সবথেকে বেশি অবহেলিত উপেক্ষিত। জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ যেসব সম্পর্কগুলো সেইসব সম্পর্কেও রোজ রোজ ভালোবাসার কথা বলা হয় না বহুকাল। জীবনের টানাপোড়েনে 'আছে কিন্তু নেই' এর মতো ছায়া হয়ে থেকে যাওয়া সম্পর্কের ওপর থেকে ধুলোবালির চাদর আলতো হাতে সরিয়ে, আদর যত্ন ভালোবাসার আলপথ ধরে হেঁটেই হাঁটি হাঁটি পাপা করে পৌঁছতে হয় এই গল্পের চরিত্রদের কাছে, এই গল্পের চরিত্রগুলো যেন রোজকার ডাল ভাতের তরল জীবনে ঠিক হাসি কান্না সুখ দুঃখের পাঁচমেশালি তরকারি, যারা তাতে ভালোবাসার লবণটুকু কম নয় আবার বেশিও নয় একদম ঠিক ঠিক মাপে মেশাতে পারে কিনা সেই ভারসাম্যের পরীক্ষার মুখে এসে বারবার দাঁড়ায়।
রুক্মিণী মৈত্রকে এতদিন যে ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে সেই তুলনায় এই ছবি এবং চরিত্র দুটোই বেশ আলাদা হতে চলেছে। তবে অভিনেত্রী নিজেও যে এখন বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং দক্ষতার সঙ্গে সেই সব চরিত্রে কাজ করছেন সেটা বুমেরাং ছবির ইশা-নিশা এবং টেক্কার মায়াকে দেখেই স্পষ্ট। এবার হাঁটি হাঁটি পাপা ছবিতে তিনি কেমন ভাবে ধরা দেন সেটাই দেখার।
এই ছবি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, 'হাঁটি হাঁটি পাপা’র গল্প যখন শুনি তখন কেন জানি না, গল্পটা আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে যায়, তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, কাঁটাছেঁড়ার পরেআজ আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে যে দর্শকদের আমরা এইরকম একটা ছবি উপহার দিতে চলেছি।' অন্যদিকে অর্ণব তাঁর আসন্ন ছবি প্রসঙ্গে জানান, ‘রুক্মিণীকে যখন গল্পটা শোনাতে যাই,ওঁর চোখেমুখে সেই অভিব্যক্তিগুলোই দেখতে পাই, যেগুলো যে কোনও পরিচালক সিনেমা দেখার শেষে দর্শকদের থেকে দেখতে চান, গল্পটা শুনে রুক্মিণীর রাজি হওয়া, তারপর এক সঙ্গে দিনেরপর দিন চিত্রনাট্য আর সংলাপ পরিমার্জনা, গল্পটাকে দর্শকদের মনের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস, শুধু তাই নয়, এই ছবিতে আরও অনেক সারপ্রাইজ আছে, যা ক্রমশ প্রকাশ্য।’