মিমি চক্রবর্তী নাকি আর চান না ভোটে দাঁড়াতে। জানিয়েছেন রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। আর অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা আসতেই মুখ খুললেন বিজেপি নেতা-অভিনেতা রুজ্রনীল ঘোষ। কী বললেন?
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র দেন যাদবপুরের সাংসদ। অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপে বেশ অবাক বাংলার মানুষ। এখানেই শেষ নয়, মিমিকে জোর গলায় বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়’। প্রশ্ন উঠেছে,. তাহলে কি দলের কোনও কার্যকলাপ বা কোনও বিশেষ মানুষ অস্বস্তিতে ফেলেছেন যাদবপুর সাংসদকে। প্রশ্ন এখন অনেক। তারকাদের নিজেদের মধ্যেও কথা চালাচালি কম হচ্ছে না। এবার মিমির হয়ে মুখ খুললেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া, বিনোদন জগতে মিমিরই সহকর্মী রুদ্রনীল ঘোষ।
বিজেপি নেতা রুদ্রনীলকে বলতে শোনা গেল, ‘মিমি চক্রবর্তী যখন এই কথাগুলো বলছেন মানেই তো তিনি বুক ফুলিয়ে চুরি জোচ্চুরিকে সমর্থন করতে পারছেন না। নিশ্চয়ই তিনি সেটার সঙ্গে মানাতে পারেননি। শুধু মিমি কেন, আমি আবার বলছি, গত এক-দেড় বছর ধরে যে লুঠ চলছে, যে তারকারা দলে এসেছেন, তাঁরা এসেছেন মানুষের ভালোবাসা পেয়ে। আমাদের জামা-বাড়ি সবই তো এই মানুষগুলোর দৌলতে। আমরা যখন তারকারা কোনও দলের হয়ে মঞ্চে উঠছি, তখন তো আমাদের দেখেই কিছু মানুষ বিশ্বাস করে ফেলছেন। সেটা তো সেই মানুষগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই হচ্ছে, এদের জন্যই তো আজ আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি।’
‘হতে পারে এরকম কিছুই মিমি চক্রবর্তী সহ্য করতে পারেননি। তাই বেরিয়ে এসেছেন। বাকি কথা তো আমার বন্ধু মিমিই বলবে। আমি যখন বেরিয়ে এসেছিলাম, তখন আমার জগতেরই অনেক বন্ধুরা আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছিল। যখন প্রতিবাদ করে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি আমাকে দল বদলু, টিকটিকি-গিরগিটি বলা হয়েছিল।’, আরও বলতে শোনা গেল রুদ্রনীলকে।
সঙ্গে অভিনেতা ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন, মিমির মতো অনেক তারকাই পরবর্তীতে ছাড়তে পারে দল। বললেন, ‘আমি এটাও জানি যে শিল্পীরা মমতা বা তৃণমূলের হয়ে মুখ খুলছেন না, তাঁরা সাপোর্ট করছেন এইসব চুরিকে’।
প্রসঙ্গত, মিমির আগে পদত্যাগ পত্র জমা করেছিলেন দেব। তবে ঘণ্টাকয়েকের মধ্যে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে হেঁটে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের স্বার্থে ফের ভোটের ময়দানে নামতে প্রস্তুত তিনি। জনসাধারণের মনে প্রশ্ন এখন, মিমিও এরকম কাজই করবেন না তো!