আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য। রবিবার রবিবাসরীয় আড্ডা নয়, মহামিছিলের মাধ্যমে গর্জন তুলল কলকাতাবাসী। শুধু শহরেই নয়, নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে মিছিল হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও। রবিবার রাতে কলকাতা থেকে দূরে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরেও আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলে সামিল হয়েছেন সেখানকাল তরুণ-তরুণীরাও। সঙ্গী ঘরে ছেলে অরিজিৎ-এর গান 'আর কবে?'
X (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে উঠে আসা ভিডিয়োতে জিয়াগঞ্জের তরুণ-তরুণীদের গিটার হাতে গলা ছেড়ে অরিজিতের ‘আর কবে?’ গাইতে গাইতে মিছিল করতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের লেখা ও সুর করা এই গান দিয়েই প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন আরিজিৎ। আর এই গানটিই এখন বহু লোকজনের কাছে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে।
অরিজিতের লেখা এই গানের কথা গুলো হল, 'এই ব্যথা আমার নয় শুধু একার / বিপ্লবী তিলোত্তমা করেছে অঙ্গীকার / লুটিয়েছে প্রাণ তাই ধরেছি গান / করছি প্রার্থনা বিফল না যায় সে বলিদান / আজ উঠুক জেগে সুপ্ত চেতনা / অন্ধকার হতে আলোকে হোক না পথ চেনা / আর কবে চোখে মেলে তাকাবে / আর কবে সমব্যথী হবে?' বেশকিছুদিন আগে অরিজিতের এই গান ধরেই প্রতিবাদের নামার আগে রিহার্সাল দিতে শোনা গিয়েছিল কিছু তরুণ-তরুণীকে। অরিজিতের এই গানই এখন হয়ে উঠেছে বহু তরুণ-তরুণীর প্রতিবাদের ভাষা।
আর তাই, ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'আর কবে?' গান লিখে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের তোপের মুখে পড়েছেন অরিজিৎ। তাঁকে ভালো গায়ক, ভালো মানুষ বলেও কুণাল ঘোষ তোপ দেগে লিখেছিলেন, ‘বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না, বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ, ওটা ওর মূল কর্মক্ষেত্র। হিন্দি জগত, কাজ, টাকা কেরিয়ার, তাই চুপ? ’ কুণালের এই আক্রমণের জবাবও আসে অরিজিতের ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। নাম না করে অরিজিৎ লেখেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি।’ তবে অরিজিৎকে এভাবে আক্রমণ করার কারণে বহু নেটনাগরিকের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
যদিও নিজের X হ্যান্ডেলটি আপাতত প্রাইভেট করে রেখেছেন অরিজিৎ। এদিকে ৫ই সেপ্টম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। অরিজিৎ আরও লেখেন, ‘মিডিয়ায় কিছু নতুন তথ্য উঠে আসছে- ফোন কলস, নীল বা সবুজ চাদর, সেমিনার হলের দুই দরজা। এটা পরিষ্কার যে কিছু তো একটা লুকানোর চেষ্টা চলছে। কিছু একটা হবেই’।