মার্চেই শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের ১৫ নম্বর সিজন। আর দীর্ঘ সময়ের পর প্রথমবার বাংলায় এসেছে ট্রফি। বিজেতা হয়েছেন নিমতার মেয়ে মানসী ঘোষ। আপাতত ১৬ নম্বর সিজন শুরুর অপেক্ষা। কিন্তু আপনি কি জানেন, পরবর্তী সিজনে আর ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসনে বসবেন না বিশাল দাদলানি। ১৫ নম্বর সিজন শেষ হওয়ার পর, নিজেই করেছিলেন সেই ঘোষণা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত, আর ১৫ নম্বর সিজনে প্রতি এপিসোড থেকে কত টাকা পারিশ্রমিকই বা পেতেন তিনি।
১৫ নম্বর সিজনে কত পারিশ্রমিক পেতেন বিশাল দাদলানি?
বিশাল দাদলানি ইন্ডিয়ান আইডলের ১০ থেকে ১৫ সিজন পর্যন্ত বিচারক আসনে বসেছিলেন এবং ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়রের প্রথম দুটি সিজনেও বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রিপোর্ট অনুসারে, গায়ক ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারক হিসেবে প্রতি পর্বে প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করেন। যা ১৫ সিজনে বেড়ে হয় প্রতি সপ্তাহে ১০ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে, তিনি তিন বিচারকের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ব্যক্তিও ছিলেন। অর্থাৎ, বাদশা আর শ্রেয়া ঘোষালের থেকে বেশি টাকা পেতেন।
৬ বছর পর ইন্ডিয়ান আইডল কেন ছেড়ে দেন বিশাল দাদলানি?
আসলে প্রায় মাসছয়েক ধরে চলে এক-একটা সিজনের শ্যুট। আর সেই দীর্ঘ সময় মুম্বই ছাড়তে পারেন না বিচারকরা। একটা বা দুটো এপিসোডের বেশি অনুপস্থিত থাকারও জো নেই। সেটাকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন বিশাল।
বিশাল দাদলানি তাঁর ইন্ডিয়ান আইডল ছাড়ার ঘোষণা করার সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার তরফ থেকে এই পর্যন্তই! টানা ৬টা সিজন পরে থাকার পর আজ রাতটাই ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারক হিসেবে আমার শেষ পর্ব। আমি আশা করি, এই অনুষ্ঠানটি আমাকে যতটা মিস করবে আমিও ততটাই মিস করব। ধন্যবাদ শ্রেয়া, বাদশা, আদি, আরাধনা, চিত্রা, আনন্দ জি, সোনাল, প্রতিভা, সাহিল, সালোনি, মুসকান, আবিশা, পুরো প্রযোজনা দল, বিলাস, পাক্য, কৌশিক (পিঙ্কি), এবং বছরের পর বছর ধরে সমস্ত সহ-বিচারক, গায়ক এবং সঙ্গীতশিল্পীদের! এটা সত্যিই নিজের বাড়ির মতোই হয়ে গিয়েছিল! সেই মঞ্চটিতে যা রয়েছে তা হল বিশুদ্ধ ভালোবাসা!’
১৫ নম্বর সিজনে বিশাল দাদলানির সঙ্গে শ্রেয়া ঘোষাল ও বাদশার কেমিস্ট্রি ছিল দেখার মতো। প্রতিযোগীদের মতো, সুপারহিট হয়েছিলেন তিন বিচারকও।