Rape case against Bollywood Singer: কাজের নামে বেডরুমে ডেকে স্টাইলিস্টকে ‘ধর্ষণ’, ভিত্তিহীন অভিযোগ বললেন বলিউড গায়ক

কস্টিউম স্টাইলিস্টকে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল রাহুল জৈনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৩২৩ ধারার (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দেওয়া)-সহ একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা। যদিও বলিউড গায়ক এবং সুরকারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই মহিলাকে চেনেন না তিনি।ওই কস্টিউম স্টাইলিস্টের (৩০) অভিযোগ, গত ১১ অগস্ট মুম্বইয়ের আন্ধেরিকে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওশিওয়ারা থানায় নিজের বয়ানে মহিলা দাবি করেছেন, ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রাহুল। তাঁর কাজের প্রশংসা করেছিলেন। ব্যক্তিগত কস্টিউম স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজের আশ্বাস দিয়ে আন্ধেরিতে নিজের আবাসনে ঢেকেছিলেন রাহুল।আরও পড়ুন: হোটেলে ডিনারে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় ধর্ষণ! নয়ডায় পুলিশের দ্বারস্থ কলকাতায় মহিলামহিলার দাবি, গত বৃহস্পতিবার (১১ অগস্ট) রাহুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের সামগ্রী দেখানোর নাম করে রাহুল তাঁকে শোওয়ার ঘরে নিয়ে যান বলে দাবি করেছেন ওই কস্টিউম স্টাইলিস্ট। মহিলার অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেছেন রাহুল। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে বলিউড গায়ক ও সুরকার মারধর করেছেন এবং তথ্য়প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই কস্টিউম স্টাইলিস্ট।মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে বলিউড গায়ক এবং সুরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৩২৩ ধারার (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দেওয়া)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও একটি বিবৃতিতে রাহুল দাবি করেছেন, ওই কস্টিউম স্টাইলিস্টকে চেনেন না। মহিলার যাবতীয় অভিযোগ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। 'আগেও এক মহিলা আমরা বিরুদ্ধে একইরকম অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে আমি সুবিচার পেয়েছিলাম। ওই মহিলা হয়তো সেই প্রথম মহিলার সহযোগী হবেন।'আরও পড়ুন: Dalit girl rape case: 'ন্য়ায় বিচার পেলে ওর জামা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেব',ধর্ষণের শিকার মৃত মেয়ের মায়ের করুণ বার্তাউল্লেখ্য, ২০১৪ সালে গানের জগতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এমটিভির একটি শো'তে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 'তেরি ইয়াদ ফর ফিভার', 'আনেওয়ালা কাল'-র মতো গান গেয়েছেন। 'কাগজ', 'ঝুটা কাহিন কা'-সহ একাধিক ওয়েব সিরিজে সুরকার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বছর রাহুল এবং পরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত করানো এবং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।