জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং পডকাস্টার রণবীর এলাবাদিয়া, যিনি 'বিয়ার বাইসেপস' নামে বেশি পরিচিত, গোয়ায় তাঁর সঙ্গে ঘটা দুঃসহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি জানান যে, তিনি এবং তার বান্ধবী খোলা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রায় ডুবে গিয়েছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রণবীর এলাহাবাদিয়া বলেন, এটা তার জীবনের সবচেয়ে ঘটনাবহুল ক্রিসমাস।
গোয়া সমুদ্র সৈকতে কী হল রণবীর এলাহাবাদিয়ার সঙ্গে?
বান্ধবীর ছবি-সহ বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে রণবীর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা এখন পুরোপুরি সুস্থ এবং ভালো আছি। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাকে ও আমার বান্ধবীকে কিছু খারাপ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে।’
ইউটিউবার বর্ণনা করেন যে, কীভাবে তিনি এবং তার বান্ধবী খোলা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে একটি শক্তিশালী ডুবো স্রোতের দ্বারা ভেসে যাচ্ছিলেন। দক্ষ সাঁতারু হওয়া সত্ত্বেও, রণবীর এলাহাবাদিয়া এবং তার বান্ধবী ৫-১০ মিনিটের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইউটিউবার জল খেয়ে নেন, প্রায় ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থাও হয় তাঁদের।
আর এই ভয়ঙ্কর মুহূর্তে, দম্পতিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন একজন আইপিএস অফিসার এবং একজন আইআরএস অফিসার সহ নিকটবর্তী আরও কিছু মানুষ। ‘বেঁচে থাকতে পেরে কৃতজ্ঞ’, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন এই ইউটিউবার।
‘আমরা দুজনেই খোলা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে ভালোবাসি। আমি ছোটবেলা থেকেই এই কাজ করে আসছি। কিন্তু গতকাল জলের নীচের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলাম প্রায়। এর আগেও আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমি কখনো সঙ্গীর সঙ্গে ছিলাম না। একা-একা সাঁতার কাটা সহজ। কিন্তু আপনার সঙ্গে থাকাকাউকে টেনে তোলা খুব কঠিন। ৫-১০ মিনিটের লড়াইয়ের পর আমরা সাহায্যের জন্য আর্জি জানাই। এবং কাছাকাছি সাঁতার কাটা ৫ জনের একটি পরিবার তৎক্ষণাৎ আমাদের উদ্ধার করে। আমরা দুজনেই ভালো সাঁতারু, কিন্তু প্রকৃতির ক্রোধ এমন যে…’, লেখেন রণবীর এলাহাবাদিয়া।
‘একটা সময় এমন আসে যে, আমি প্রচুর পরিমাণে জল গিলে ফেলেছিলাম এবং কিছুটা ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম। তখনই আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করার সিদ্ধান্ত নেই। অফিসার স্বামী এবং আইআরএস অফিসার স্ত্রীর পরিবারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা যারা আমাদের উভয়কে বাঁচিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।’, আরও লেখেন রণবীর।
‘এই লেখাটি লিখছি, কারণ আমি সবসময় আমাদের জীবনের অধিকাংশ মুহূর্তগুলো আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি এর আগেও। আজ আমার মন আবেগ ও কৃতজ্ঞতায় ভরপুর। আপনাদের প্রত্যেককে মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ এবং আলিঙ্গন! আমি মনে করি ২০২৫ সাল আগের চেয়ে আরও বেশি আশীর্বাদ হতে চলেছে। কারণ আমি বেঁচে আসতে পারেছি। আপনাদের সবাইকে এবং আপনার পরিবারকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এই জীবনের জন্য!’, নিজের লেখা শেষ করেন রণবীর।