একটা সময় তাঁরা কেবল যে সহকর্মী ছিলেন সেটাই নয়। ছিলেন ভালো বন্ধুও। একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। তবে সেসব এখন অতীত। দুজনেই দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বী। হুগলি কেন্দ্র থেকে একজন বিজেপির হয়ে লড়ছেন, আরেকজন তৃণমূলের। আর এই নির্বাচনী প্রচারের সময়ই তাঁদের একে অন্যর বিরুদ্ধে রীতিমত আক্রমণ শানাতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এত সবের মধ্যেও বুধবার একটু অন্য রকম কাটল। এদিন আর আক্রমণ নয়। বরং উল্টে লকেটের খানিক প্রশংসা করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তাঁদের একসঙ্গে কাটানো কিছু স্মৃতির কথাও মনে করলেন তিনি।
লকেটের সম্পর্কে কী জানালেন রচনা?
এদিন ভোটের প্রচারে বেরিয়ে পুরনো বন্ধুত্বের কথা মনে করলেন তৃণমূল প্রার্থী। আনন্দবাজারের তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয় স্মৃতি হাতড়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লকেটের সঙ্গে অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমি সেভাবেই ওকে দেখতে চাই।'
আরও পড়ুন: মাচা শোতে নগ্ন হয়েই নাচতে হবে, না মানলে গলায় পা তুলে শিল্পীদের মার, 'পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি' দাবি সুমিত-পৌষালিদের
আরও পড়ুন: 'এতে ভুল কী আছে? স্রেফ সময় নষ্ট' নেপোটিজম বিতর্কে নাম না করেই করণের পাশে রোহিত! বললেন বিতর্কটাই 'অনর্থক'
বুধবার, ১০ এপ্রিল তিনি হুগলির চুঁচুড়ায় প্রচার সারেন। সেই প্রচারের ফাঁকেই তিনি লকেটের বিষয়ে বলেন, 'দুজনে একসঙ্গে অনেক ভালো ছবি করেছি। আমি আর ও এখনও যদি মুখোমুখি বসি, তাহলে গল্প করতে করতে গোটা রাত কেটে যাবে। তবুও আমাদের গল্প ফুরাবে না। আমাদের বন্ডিং খুব ভালো ছিল। আমরা যখন অভিনয় করতাম। তখন আউটডোর শ্যুটিং পড়লে আমরা একসঙ্গেই থাকতাম। আমাদের একটা গ্রুপ ছিল, আমি লকেট, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক। শ্যুটিংয়ের পর আমাদের আড্ডা বসত। সেখানে কোনও কোনওদিন প্রসেনজিৎ হারমোনিয়াম বাজাত, লকেট গান করত। আমি আবার তবলা বাজাতাম। স্মৃতিগুলো খুব ভালো ছিল। আমি ওই স্মৃতির মাধ্যমেই লকেটকে আমার কাছে রাখতে চাই।'
উত্তরে কী বললেন লকেট?
জবাবে লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন জানান তাঁরা যখন একসঙ্গে ছবিতে কাজ করতেন তখন তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে তুমি বলে ডাকতেন। অন্যদিকে রচনা তাঁকে তুই বলতেন। এতটাই ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সেই কথা মনে করেই এদিন লকেট রচনার উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক যেন ভালো থাকে। রাজনীতিতে যেন ব্যক্তিগত সম্পর্কের আঁচ না পড়ে।'
আরও পড়ুন: দুর্ধর্ষ পারফরমেন্সের পর ফাইনালে হার, বিশ্বকাপের পর কী অনুভূতি হয়েছিল রোহিতের? কপিলের শোতে বললেন, ‘প্রেসারে যা খুশিই...’
শুধু তাই নয়। এদিন তিনি রচনার উদ্দেশ্যে এক বিশেষ টিপসও দেন। বয়স বা অভিনয়ের কেরিয়ারে রচনা বড় হলেও, রাজনীতির ময়দানে লকেটই সিনিয়র। আর তাই এদিন তিনি রচনার উদ্দেশ্যে বলেন, 'মানুষের জন্য কাজ করা কঠিন।'