সেটা ৯০-এর দশক, ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলা ছবি ‘মায়ার বাঁধন’। যে ছবিতে নায়ক প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। আজকের এই নায়িকা তখন অনেক ছোট। তবে কালের নিয়মে কত কিছুই যে ঘটে যায়! এরপর এরপর এক্কেবারে ২০২৩। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কাবেরী অন্তর্ধান'-এ শ্রাবন্তী হন প্রসেনজিৎ-এর নায়িকা।
আর এবার আরও একবার 'দেবী চৌধুরানী' ছবিতে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী। যদিও এখানে তাঁরা ঠিক নায়ক-নায়িকা নন। এই ছবিতে ‘ভবানী পাঠক’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে বুম্বাদাকে। আর শ্রাবন্তী হচ্ছেন 'দেবী চৌধুরানী'। আর সম্প্রতি একটি পাবলিক স্টেজ শোয়ে সেই কথাই উঠে এসে টলিপাড়ার 'বুম্বাদা'র মুখে। শ্রাবন্তীকে এদিন জনসমক্ষে মেয়ে বলেই সম্বোধন করেন তিনি।
শ্রাবন্তীর কাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘অনেকদিন আগে মায়ার বাঁধন বলে একটা ছবি হয়েছিল, তাতে ও আমার মেয়ে হয়েছিল। আর আপনাদের আশীর্বাদে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ছবি কাবেরী অন্তর্ধান-এ ও আমার নায়িকা হয়েছিল।’ এমন কথায় হেসে ফেলেন শ্রাবন্তী। আর আগামী মে মাসে আমাদের একটা ছবি রিলিজ করছে। সেই ছবিটা বঙ্কিমবাবুর লেখা দেবী চৌধুরানী-র কথা আপনারা নিশ্চয় জানেন। তাতে দেবী চৌধুরানী সেজেছে আমার মেয়ে। আর আমি ভবানী পাঠক( গলাটা একটু ভারী করে)।'
আরও পড়ুন-নতুন প্রেমে পড়েছেন! সুনীতার সঙ্গে ৩৭ বছরের দাম্পত্য ভাঙছে গোবিন্দার?
এদিন স্টেজে উঠেই বুম্বাদার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন শ্রাবন্তী। পাল্টো তাঁকে কাছে টেনে নিয়ে স্নেহের আদরে ভরিয়ে দেন প্রসেনজিৎ।

এখনেই শেষ নয়, এদিন শ্রাবন্তীর প্রশংসা করে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আরও একটা কথা বলব, ও সামনে আছে বলে নয়। আমি মনে করি ওদের যে প্রজন্ম, তাতে শ্রাবন্তী একজন শুধু ভালো নায়িকই নয়, ও একজন অসাধরণ অভিনেত্রী।’
প্রসঙ্গত, 'দেবী চৌধুরীনী' ছবিতে অভিনেতাদের লুক, শ্যুটিংয়ের নানান মুহূর্ত এর আগেই উঠে এসেছে Hindustan Times Bangla-র ওয়েবসাইটে। যেখানে বাংলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডাকাত-সম্রাজ্ঞী হিসাবে ধরা দিয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখা গিয়েছে নস্যি রঙের শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, গলায় তাবিজ, কপালে তিলক, আর তলোয়ার হাতে। শ্রাবন্তীকে আগে কেউ কখনও এভাবে দেখেছেন বলে মনে হয় না। জানা যাচ্ছে, এই ছবির জন্য অসিচালনা, তলোয়ার চালনা, লাঠি খেলা থেকে শুরু করে ঘোড়ায় চড়া, সবরকম প্রশিক্ষণই নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ‘ভবানী পাঠক’-এর বেশে ধরা প্রসেনজিৎ-কে নস্যি রঙের পাঞ্জাবি, গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, বড় চুল-দাড়িতে দেখা গিয়েছে। আর হাতে ছিল বড় ত্রিশূল, চোখে তাঁর গভীর দৃষ্টি।
এই ছবিতে ছবিতে শ্রাবন্তী-প্রসেনজিৎ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে হরবল্লভ রায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। অর্জুন চক্রবর্তীকে দেখা যাবে রঙ্গরাজের ভূমিকায়। বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে নিশির ভূমিকায়। দর্শনা বণিকঅভিনয় করবেন সাগরের চরিত্রে। কিঞ্জল নন্দকে দেখা যাবে ব্রজেশ্বরের ভূমিকায়।