বয়স মাত্র ৩০। কিন্তু নিখুঁত ভরাট লুক পেতে বোটক্স, ফিলারে আসক্ত তিনি। এই অস্ট্রিয়ান মডেল দারুণ মাত্রায় বোটক্স করিয়েছেন। আর এতেই বাড়ছে ক্ষতির সম্ভাবনা। কিন্তু সেসবকে উড়িয়ে চেয়েছিলেন বাকি জীবনটা যেন তাঁকে বার্বির মতো দেখতে লাগে। তার জন্য পকেটে একটু চাপ পড়লেও ক্ষতি নেই। কত টাকা খরচ করলেন ড্রিম লুক পেতে?
কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে এই ৩০ বছর বয়সী মডেল যাঁকে অনলাইনে ফেটিশ বার্বি বলে ডাকে লোকজন তিনি ৫০ হাজার ইউরো অর্থাৎ ৫৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন কসমেটিক সার্জারি করার জন্য। আর এরপরই তিনি যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, তেমনি তাঁকে হতে হয়েছে কটাক্ষের শিকার।
জানা গিয়েছে এই অ্যাডাল্ট মডেল ১৮ বছর বয়সে তাহর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই তিনি নিয়মিত বোটক্স এবং ফিলার ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন। তাঁকে আগে যেমন দেখতে ছিল এখন সেটার সঙ্গে দূর দূর অবধি কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কী কী বদল করেছেন? ঠোঁট, গাল, কপাল সব জায়গাতেই এনেছেন বদল। তাঁর আসল মুখের পাশে এখনকার মুখের ছবি রাখলে একেবারেই চেনা যাবে না যে দুটো একই মানুষের ছবি। কিন্তু এই ট্রিটমেন্টগুলো করিয়ে কোনও আফসোস নেই ফেটিশ বার্বির। কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাঁকে এরম দেখতে হোক। স্বপ্নের লুক পেতেই এত কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন তিনি।
বরং সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'আমায় যেমন দেখতে আমার নিজেকে সেভাবেই ভালো লাগে।' তিনি নিজেকে পুতুলের মতো লুক দিতে চান। পুরু ঠোঁট, লম্বা চুল এবং সুন্দর নখ থাকা চাই তার জন্য। আর এগুলোই নাকি তাঁকে সাহস জোগায়। ফলে কে কী বলল তাতে তাঁর বিশেষ কিছু যায় আসে না। তিনি পাত্তাও দেন না।
আরও পড়ুন: করণ-বিপাশার সঙ্গে 'ডেঞ্জারাস'-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ! মিকা বললেন, 'কিছুই বুঝছিলাম না কী ঘটছে!'
বোটক্স ফিলারের জন্য কত খরচ করেছেন তিনি?
জানা গিয়েছে বিগত কিছু বছরে ফেটিশ বার্বি প্রায় ৩২ থেকে ৫৩ হাজার টাকা খরচ করেছেন বোটক্স এবং ফিলার ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। তাঁর এই বোটক্সের প্রতি আসক্তি দেখে অনেকেই বেশ চিন্তিত তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে। কেউ কেউ আবার মনে করেন এসব করিয়ে তাঁকে ফেক লাগে দেখতে। যদিও নিয়মিত এই নেতিবাচক মন্তব্য পেলেও সেসব গায়ে মাখেন না ফেটিশ বার্বি।