২০২৩-এর শেষে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে। সমাজকর্মী তথা মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করে কম কটাক্ষের মুখে পড়েননি নায়ক। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে-বাইরে সর্বত্র চর্চা তাঁদের নিয়ে। সেই চর্চার বড় কারণ পিয়া গায়ক-সুরকার অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী।
নতুন বছরের শুরুতে টলিউডের ঘরোয়া পার্টিতে নয়, নিজেদের মতো করেই সময় কাটালেন পরম-পিয়া। অনুপম গিয়েছিলেন যিশু সেনগুপ্তর হাউস পার্টিতে। নিন্দকদের কথায়, অনুপমের জন্যই নাকি ডাক পাননি পরম। বছরের প্রথমদিন কেমনভাবে কাটল পরম-পিয়ার সময়? সে কথা জানালেন অভিনেতার নতুন বউ।
১লা জানুয়ারি শহরের এক নামী চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ডিনারে গিয়েছিলেন নবদম্পতি। তবে একা নন, পরিবারের বয়স্ক সদস্যাদের সঙ্গে দেখা মিলল তাঁদের। খাবার ফাঁকে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন পাঁচজনে। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে পিয়া লেখেন, ‘প্রথম জানুয়ারির পরিকল্পনা… পরিবারের সঙ্গে ডিনারে চাইনিজ খাওয়া’।

সপরিবারে চাইনিজ রেস্তোরাঁয়
ছবিতে পিয়ার দেখা মিলল তাঁর রিসেপশন পার্টির পোশাকে। নীল রঙা ড্রেসটিতে নিজেকে সাজিয়েছিলেন পরম-ঘরণী, সঙ্গে তাঁর বদলে যাওয়া রূপ। সদ্যই সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট জলি চন্দার কাছে গিয়ে নিজের মেকওভার করান পিয়া। এই প্রথমবার চুলে রং করান পরম ঘরণী। পিয়ার নতুন লুক বেশ পছন্দ হয়েছে নেটিজেনদের। ওদিকে পরমকে এদিন দেখা গেল একদম ক্যাজুয়াল লুকে। সাদা টি-শার্ট, জ্যাকেট আর ডেনিমে সেজে নায়ক।
২০২৩ নিঃসন্দেহে পিয়ার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় বছর। নিন্দকদের মুখে ছাই ঘষে বছরের প্রথম দিনই পিয়ার অঙ্গীকার, ‘আমি ফেনোমেনালি ফেনোমেনান ওম্যান’ অর্থাৎ ‘আমি আশ্চর্যজনকভাবে বিস্ময়কর নারী’। কোনওভাবে তিনি ঝুঁকতে রাজি নন, স্পষ্ট জানিয়েছেন।
নতুন বছরে সকলকে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার বার্তা পরম ঘরণীর। তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি নিজেদের আশা জাগাতে। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করার অর্থ… তুমি কখনও নিজের ভাগ্য বদলাতে পারবে না। আপনাদের বছরটা স্বপ্নে ভরে উঠুক’।
গত ২৭শে নভেম্বর সইসাবুদ করে বিয়ে করেন পরমব্রত-পিয়া। বিয়ের পরেই হানিমুনে আয়ারল্যান্ড পৌঁছেছিলেন দুজনে। ক্রিসমাসের আগেরদিন আয়োজন করেছিলেন ঘরোয়া রিসেপশন পার্টি। বিয়ে পরবর্তী ট্রোলিং নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না পিয়া। তাঁর কথায়, ‘নিজের অন্তর্জগৎটা বা ইনার সার্কেলটা যদি সুন্দর থাকে, যদি আনন্দে আর শান্তিতে থাকে―এই সবগুলো কেমন ধুলোর মতো মিলিয়ে যায়। তাই আমাকে একদম স্পর্শ করে না আর এগুলো। অনেকগুলো কষ্টের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আমি এতে উপলব্ধ হয়েছি।’