
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
৫০ বছরেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’র হাত ধরেই বাংলা সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘পিকু’ সিনেমায়। টলিউড থেকে বলিউডে কাজ করে দর্শকদের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কাজ করেছেন উত্তম কুমার থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা হিসেবে।
সদ্য দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ‘চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান’-এর জন্য এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলিউডের অনেক তারকা। সেরা অভিনেতা- শাহরুখ খান (জওয়ান), সেরা অভিনেতা (সমালোচক)- ভিকি কৌশল (স্যাম বাহাদুর), নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতা- ববি দেওল (অ্যানিম্যাল), সেরা পরিচালক- সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গা (অ্যানিম্যাল), সেরা অভিনেত্রী- নয়নতারা (জওয়ান)-সহ আরও অনেকে। আরও পড়ুন: মুখোমুখি দুই প্রাক্তন, শাহিদকে দেখে এড়িয়ে গেলেন করিনা? চোখেমুখে অস্বস্তির ছাপ নাকি
বাংলা থেকে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছেন ৭০ দশক জুড়ে। কেবল সৌন্দর্যে নন, অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ করেছেন কত শত মানুষকে। বালিকা বধূ’র নায়িকা এক সময় জানিয়েছিলেন, তিনি যত বেশি কাজ করতে পারতেন, তা করেননি যৌবনে। কারণ পেশা জীবনের থেকে নিজের ব্যক্তিজীবন থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন মৌসুমী। অভিনেত্রী হিসেবে নিজের ১০০ শতাংশ দেননি বলেই দাবি তাঁর।
বাস্তবেও খুব দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঠিক তিনি নন, তাঁর পরিবারের ইচ্ছেতেই এমনটা ঘটেছিল। হেমন্ত কুমারের পরিবার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিল। তিনি প্রথম থেকেই স্থির করেছিলেন মৌসুমীকে নাতবৌ করবেন। তবে এত আগে বিয়ে স্থির হয়নি। মৌসুমীর পরিবারের একগুরুজন ক্যানসারের শেষ পর্যায় ছিলেন। তিনিই হেমন্ত কুমারকে প্রশ্ন করেছিলেন, মৌসুমীর বিয়ে কী তিনি দেখে যেতে পারবেন না। উত্তরে হেমন্ত কুমার বলেছিলেন, নয় কেন?
এরপরই মৌসুমী চট্ট্যোপাধ্যায়ের বিয়ের সানাই বাজে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর। তখন পরীক্ষা ছিল মৌসুমীর। তিনি স্থির করেন আর পড়বেন না। কারণ তখন তাঁর ঝুলিতে একের পর এক ছবি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা হলেছিলেন মৌসুমী। তবে কীসের হতাশা? এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী বলেছিলেন, একটা সময় আমায় হতাশা গ্রাস করে।
মৌসুমীর কথায়, সবকিছু আমি ভীষণ সহজে পেয়ে যাচ্ছিলাম। মীনা কুমারীর মতো মদ্যপান করে পড়ে থাকতে ইচ্ছে করত। মাত্র ১৭ বছরে সন্তান, পরিবার, নিজের মার্সিডিজ, গোল্ডেন জুবলি ছবি, সবটাই পাচ্ছিলাম। এরপর তিনি খোলসা করে বলেন, ‘কেউ যদি এত সহজে সবটা পেয়ে যায়, তবে হতাশা তো গ্রাস করবেই। সেই খিদে, সেই আনন্দটাই তো থাকে না’। মৌসুমী তখন যাতেই হাত দিচ্ছিলেন, তাতেই সোনা। একের পর এক ছবি ছিল তাঁর ঝুলিতে। চুটিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। তাই পরীক্ষাটাও আর তাঁর দেওয়া হয়নি। তবে বলিউডে কাটিয়েছেন সোনালি অধ্য়ায়।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports