হলিউড সিনেমার একটি ক্লিপিংস শেয়ার করেছেন। তবে তা যে মহম্মদ শামিকে কটাক্ষ করে, তা বুঝতে কারও সমস্যা হয়নি।
শামিকে কটাক্ষ করে পোস্ট হাসিনের।
বিশ্বকাপের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে খেলার সুযোগই পাননি মহম্মদ শামি। যদিও নির্বাচকদের সেই সিদ্ধান্ত কতটা ভুল তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ভারতীয় এই পেস বোলার। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলে সব থেকে বেশি ২৩টি উইকেট নিয়েছেন শামি। সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।
তবে শামির এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সে একটাও শব্দ খরচ করেননি শামির স্ত্রী হাসিন জাহান। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কটাক্ষে ভরা পোস্ট করাও বন্ধ করেননি। আজকাল তিনি এমন কিছু পোস্ট শেয়ার করেন, বা এমন কিছু কথা লেখেন ক্যাপশনে, যা দেখে নেট-নাগরিকদের ধারণা হয় শামিকেই ঠুঁকছেন।
হলিউড সিনেমার একটি ক্লিপিংস শেয়ার করেছেন। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘তুমি যখন টাকা নষ্ট করো, তা কিছুই না। যখন তোমার শরীর নষ্ট করো, তা অল্প ক্ষতি। কিন্তু তুমি যখন চরিত্র নষ্ট করো, তখন সব শেষ।’ ভিডিয়োর ক্যাপশনে হাসিন লিখলেন, ‘ডার্লিং মনে রেখো’।
যদিও হাসিনের এহেন পোস্ট একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না শামির অনুরাগীরা। যাকে বলে ধুইয়ে দিয়েছেন তাঁরা ক্রিকেটার-পত্নীকে। একজন লিখলেন, ‘একদম ঠিক। যেমন তুই শামির টাকার পিছনে ছুটে নিজের চরিত্র নষ্ট করেছিস।’ আরেকজন লিখলেন, ‘শামি কি আদৌ এই মেয়েটাকে স্টক করে! নয়তো এসব লেখা ব্যর্থ হয়ে যাবে বেচারার’।
শুধু তাই নয়, দিনদুই আগে হাসিন জাহান আইসিসি আপ বিসিআই-কে কটাক্ষ করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিশ্বকাপের ফাইনালে কপিল দেবের ডাক না পাওয়ার খবর শেয়ার করে ইনস্টায় পোস্ট করেন। লেখেন, ‘কপিল দেব স্যার----- যেহেতু আমাকে কেউ ডাকেনি, আমিও যাইনি। হতে পারে সব ভিআইপি এবং বলিউড অভিনেতাদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে আমাকেও ফোন করতে ভুলে গেছে। আপনি আমাদের গর্ব। কেউ আপনাকে না ডাকলেও আপনার অহংকার কখনও কমবে না। ক্রিকেটের ইতিহাসে আপনার নামটি সোনালি শব্দে লেখা আছে এবং থাকবে।’
২০১৪ সালে হাসিনকে বিয়ে করেন শামি। আইপিএলে চিয়ার লিডার ছিলেন হাসিন। এতটাই মুগ্ধ হন তিনি সৌন্দর্যে যে বিবাহবিচ্ছিন্না, দুই সন্তানের মা-কে বিয়ে করতেও দ্বিধা করেননি। ২০১৫ সালে জন্ম হয় শামি-হাসিনের মেয়ের। এরপর ২০১৮ সাল থেকেই ঝামেলা শুরু। হাসিন নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নির্য়াতন, পরকীয়া-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন।