মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ ইন্দোরের সোনমের বিরুদ্ধে, মেঘালয়ের এই খুনের ঘটনায় নিজের মতামত জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এই সবের অযৌক্তিকতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই ইস্যুতে কঙ্গনা রানাওয়াতের মতামত
একটি নিউজ আর্টিকেল শেয়ার করে অভিনেতা তথা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, ‘কেউ কি এর ব্যাখ্যা দিতে পারেন? মেয়ে বিয়েতে না বলতে পারে না কারণ সে তার নিজের বাবা-মাকে ভয় পায় কিন্তু সে সুপারি কিলারদের সাথে ঠান্ডা মাথায় খুনের প্ল্যান করতে পারে, সকাল থেকে এটা আমি কিছুতেই মাথা থেকে বের করতে পারছি না! উফ!’ তিনি আরও বলেন, ‘সে এমনকি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যেতে পারল না বা ডিভোর্স দিতে পারল না! কতটা নিষ্ঠুর, জঘন্য এবং সর্বোপরি অযৌক্তিক এবং বোকা! এসব মানুষকে কখনই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, এঁরা যে কোনও সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ... আমরা প্রায়ই তাদের নিয়ে হাসাহাসি করি এবং মনে করি তারা নিরীহ কিন্তু এটি সত্য নয়, বুদ্ধিমান লোকেরা নিজের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি করতে পারে তবে মনে রাখবেন যে একজন বোকা ব্যক্তির কোনও ধারণা নেই যে তাঁরা কী করছেন! আপনার চারপাশের বোকা সম্পর্কে সচেতন থাকুন, খুব সচেতন থাকুন।’

মেঘালয় হত্যা মামলা কী?
পুলিশ জানিয়েছে, মেঘালয়ের সোহরা শহরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন সোনম রঘুবংশী। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, রাতভর অভিযান চালিয়ে তিন হামলাকারী আকাশ রাজপুত (১৯), বিশাল সিং চৌহান (২২) এবং রাজ সিং কুশওয়াহাকে (২১) গ্রেফতার করার পর তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে হাজির হন এবং নন্দগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। গত ১১ মে ইন্দোরে বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে যান রাজা ও সোনম। ২৩ মে রাজার মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নংরিয়াত গ্রামের একটি হোমস্টে থেকে চেক আউট করার কয়েক ঘণ্টা পরেই ২৩ মে তাঁরা নিখোঁজ হন। মেঘালয় পুলিশের দাবি, সোনম খুনের ছক কষেছিল, কিন্তু তাঁর বাবা দেবী সিং রঘুবংশী জোর দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে অপহরণ করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার মেয়ে শতভাগ নির্দোষ। মেঘালয় পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করছে না। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন।