কুণাল ঘোষ এদিন রীতিমত টলিউডের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন টলিউডের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তারকারা সরব হতেই তিনি জানিয়ে দিলেন এটা বাংলার নাম খারাপ করার চক্রান্ত। আর কী বললেন তিনি এদিন টলিউডের বাবু বিবিদের নিয়ে?
কী লিখলেন কুণাল ঘোষ?
কুণাল ঘোষ এদিন তাঁর ফেসবুকের পাতায় তারকাদের প্রতিবাদকে সমালোচনা করে লেখেন, 'আফসোস লাগে, মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না। বরং টেকনিসিয়ানরা অনেক বেশি দরদী। এঁরা অনেক বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু এঁদের অনেকেই দলের বোঝা। দলের সুসময়ে এঁরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। একটু বিতর্কিত ইস্যুতে দল পড়লেই এঁরা মুখ খোলা বন্ধ করেন। সামনে থেকে মানুষকে বোঝানোর কাজে এঁদের পাওয়া যায় না। দল না বললে কর্মসূচি, টুইটেও পাওয়া যায় না।'
তিনি তাঁর পোস্টে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ডায়রি নিয়েও মুখ খোলেন। এই ছবির কেন বিরোধিতা করছেন না তারকারা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। লেখেন, 'এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এঁরা জানেন না? অথচ এঁরা তার পাল্টা কিছু করবেন না, করতে চাইবেন না। এঁদের কেউ কেউ আন্তরিক। বাকি ক্ষমতাশালী তারকাদের নিয়ে দল ভাবুক।'
কেবল টলিউডের তারকা নয়, কুণাল ঘোষ এদিন অরিজিৎ সিংয়ের নাম করেই রীতিমত তাঁকে কটাক্ষ করে বসেন আরজি কর নিয়ে গান বাঁধার জন্য। লেখেন, 'অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দি জগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?'
আরও পড়ুন: সিটি অব জয় এখন ভয়ের শহর! আরজি কর কাণ্ডের পর কলকাতাকে নিয়ে কী বললেন শ্রুতি?
প্রসঙ্গত টলিউডের তরফে কিছুদিন আগেই একটা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, প্রমুখকে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে শ্রুতি দাস, সোহিনী সরকারের মতো অভিনেত্রীদের লাগাতার ভাবে পথে নামতে দেখা গিয়েছে। দেব, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রণজিৎ মল্লিক আর্টিস্ট ফোরামের তরফে এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন।