ছবির প্রচারে দিন কাটানোর থেকে বেশি অভিনয়ে মনোনিবেশ করার পক্ষপাতি কৃতি শ্যানন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন কৃতি। 'ভেড়িয়া'র প্রচারের সময় তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, ছবি প্রমোশন তাঁর কাছে কতটা ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন কৃতি।
ঠিক কী বলেছেন কৃতি?
কৃতি শ্যানন বলেন, ' ছবির প্রমোশন বিষয়টা খুবই ক্লান্তিকর। ২০২২-এ ভেড়িয়া মুক্তি পাওয়ার আগে ছবির প্রমোশনের সময় আমি একপ্রকার বিধ্বস্ত ছিলাম। সে বছর আমার আরও দু-তিনটি ছবি রিলিজ করেছিল, তাই ভেড়িয়ারও আগে দু-তিনটি ছবির প্রমোশন করেছি। 'ভেড়িয়া'র প্রচারের সময় আমরা পরপর বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। এমনকি রাতেও চার্টার বিমানে এক শহর থেকে আরেক শহরে ঘুরেছি, রাতে অল্প ঘুমিয়ে আবার পরদিন সকালেই অন্য শহরে। তারমধ্যে একটার পর একটা সাক্ষাৎকার দিয়ে গিয়েছি। এইসব একই বিষয়গুলির বারবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তখন মনে হচ্ছিল যদি টেপ রেকর্ডারে আমার উত্তরগুলো রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিয়ে পারতাম। যেমন, এই প্রশ্নের জন্য ১ এবং অন্যটির জন্য ২ ডায়াল করুন বলা হয় তেমনভাবে। শেষের দিকে আমি আর বরুণ একে অপরের উত্তর একপ্রকার মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।'
আরও পড়ুন-'খাদান' হিট, এরই মাঝে দেব-যিশু-ইধিকাদের নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক, কী এমন বললেন সুজিত?
‘আমার চারপাশের সবাই তখন চুপ’
কৃতি বলেন, ‘এভাবে একটার পর একটা ছবির প্রমোশনে আমি তো একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। প্রমোশনের শেষদিনে আমার একটা রিয়ালিটি শোয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। সেসময় আমি নিজের ভ্যানিটি ভ্যানে রেডি হচ্ছি, সেসময় কিছু এলোমেলো কথোপকথনে কাঁদতে শুরু করি। অগত্যা বলেই ফেলি যে আমি খুব ক্লান্ত; আমি এটা আর করতে পারব না। খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আশেপাশের সকলেই তখন চুপ। অবশ্যই, এটি আমার মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছিল। যখনই আপনি এমন কিছু করবেন, যেটা আপনাকে এক্কেবারেই আনন্দ দিচ্ছে না, তখনই মানসিক চাপ তৈরি হয়।’
প্রসঙ্গত. কাজের ক্ষেত্রে, কৃতিকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘দো পাত্তি’ ছবিতে। এই ছবিতে কৃতি দ্বৈত চরিত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কাজলকেও। চলতি বছরে কৃতির আরও দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে- ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ এবং ‘ক্রু’।