'কজরা রে' গানের সঙ্গেই প্লে-ব্যাক সিঙ্গিং-এর জগতে পা রেখেছিলেন জাভেদ আলি। এরপর লম্বা সফর পার করেছেন গায়ক। রহমানের হাত ধরেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান গায়ক, তবে জাভেদকে প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন শঙ্কর-এয়সান-লয়। ১৯ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত বান্টি অউর বাবলি ছবির আইটেম গান ‘কজরা রে’তে গলা মিলিয়েছিলেন জাভেদ।
ঐশ্বর্যর ঠুমকা, সঙ্গে বাবা-ছেলের যুগলবন্দি! পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করেছিলেন অমিতাভ-অভিষেক, সঙ্গী নীল নয়না সুন্দরী। সম্প্রতি সারেগামাপা-র মঞ্চে ফিরল কজরারে-র স্মৃতি। কজরারের জোয়ারে ভেসে জাভেদকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সহ-বিচারক অন্তরা। এরপর এই গান তৈরির গল্প শোনান জাভেদ।
শঙ্কর মহাদেবন ফোন করে স্টুডিও-তে ডেকেছিলেন জাভেদ আলিকে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, অমিতাভ বচ্চনের জন্য প্লে-ব্যাক করতে হবে তাঁকে। শুনেই হয়রান হয়েছিলেন তিনি। বিগ বি-র ব্যারিটোন কণ্ঠের সঙ্গে তাঁর গলা খাপ খাবে? এরপরই চটজলদি তাঁর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। কিশোর কুমারের কথা ভেবেই মনে জোর পান তিনি।
জাভেদ আলি বলেন, ‘আমার মনে হল কিশোরদা অমিতজি-র জন্য গাইতেন। তাহলে এই গানটার জন্য আমি তো কিশোরদা-কে নকল করতেই পারি।’ কজরারে-র হুক লাইনটা পুরোপুরিভাবে জাভেদ কিশোর কুমারকে অনুকরণ করেই গেয়েছিলেন বলে জানান তিনি। এই গান রেকর্ডিং-এর সময় কিশোর কুমারের গাওয়া ‘ইনতেহা হো গায়ি’ গানের কথা মনে করেছিলেন জাভেদ আলি।
সাঁই, দেয়াশিনী এবং দিবাকর সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে সারেগামাপা-র মঞ্চে এই গানটি তুলে ধরেন। জাভেদ আলি জানালেন, নিজের গাওয়া গান অন্যের মুখ দেখে শোনাটা বরাবরই অন্যরকম একটা ভালোলাগা। তিনজনকে ধন্যবাদ জানান জাভেদ আলি।
জাভেদ আলির সঙ্গে এই গানটি গেয়েছিলেন খোদ শঙ্কর মহাদেবন এবং আলিশা চিনোই। সারেগামাপা-র মঞ্চে বরাবরই সমাদৃত জাভেদ আলি। বাঙালি না হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হয়েছে আপামর বাঙালি। কিশোর কুমারের ভক্ত জাভেদ রবির গানের চর্চাও করেন সুযোগ পেলে।
সারেগামাপা প্রসঙ্গে
এবারের সারেগামাপাতে কোনও মেন্টর নেই। আছেন ৮ জন বিচারক। জাভেদের পাশাপাশি অপর সাত বিচারক হলেন শান্তনু মৈত্র, অন্তরা মিত্র, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, কৌশিকী চক্রবর্তী, জোজো মুখোপাধ্যায়। এঁরা ৮ জন মিলে বানিয়েছেন মোট ৪টি দল। শো-তে জাভেদের জোড়িদার জোজো। আবির চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন এই শোয়ের সঞ্চালক হিসেবে।