নাম রাম সিং। টলিপাড়ায় এই ব্যক্তিত্বকে চেনেন না এমন প্রায় কেউই নেই। খোদ 'ইন্ডাস্ট্রি' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তিনি। শুধুই নিরাপত্তারক্ষী বলাটাও হয়ত ভুল, ‘বুম্বাদা’র 'ছায়াসঙ্গী' তিনি। রাম সিংকে ছাড়া একমুহূর্ত চলেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁকেই যদি কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশনে ঢুকতে না দেওয়া হত তাহলে?
এতক্ষণে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, ড্রাইভারদের প্রবেশ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা অনেকেই জেনে গিয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক চরমে। আর এবিষয়টি নিয়ে Hindustan Times-বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বুম্বাদার কাছের মানুষ রাম সিং।
রাম সিং বলেন, ‘হ্য়াঁ, ওই লেখাটা আমি দেখেছি। এক্কেবারেই ঠিক হয়নি এটা। খুবই খারাপ হয়েছে বিষয়টা। সবাই তো মানুষ। এভাবে কাউকে ছোট করা ঠিক নয়। কে ড্রাইভার, কে নিরাপত্তারক্ষী, যেই হন না কেন, এটা কি ঠিক! একটা বিয়েবাড়ি মানে আনন্দের অনুষ্ঠান, সেখানে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীদের ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে, সেটা কি শুনতে খুব ভালো লাগছে? এটার অর্থ আমাদের কাজকে ছোট করা হল।’

'Please! Press And Personal Security And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted'-এমনই লেখা হয়
রাম সিং-এর কথায়, ‘ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীর কাজটা কি কাজ নয়? আমরা তাহলে ছোট কাজ করি! আমরা মানুষ নই নাকি? আজ তো উনি বিধায়ক, উনিও তাহলে কোথায় গেলে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া যাবেন তো? আবার সংবাদ মাধ্যমেরও প্রবেশ নিষেধ ছিল শুনছি। এটাও খুবই অন্যায়। সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক তো গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাঁদেরকেও অসম্মান করা হয়েছে। ছিঃ ছিঃ এটা ঠিক নয়। সেই ইংরেজ আমলে রেস্তোরাঁ বা ক্লাবের বাইরের লিখে রাখা হত, INDIANS AND DOGS ARE NOT ALLOWED। বিষয়টা ঠিক তেমন হল নাকি!’
এমন ঘটনায় অপমানিত, ব্যথিত রাম সিং বলেন, ‘দাদা অনুষ্ঠানে যাননি, কারণ উনি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে দাদা যদি ওখানে যেতেন আর এগুলো দেখতেন, হয়ত ঢুকতেন না। যদিও বা ঢুকতেন, আমরা যেহেতু বাইরে থাকতাম, তাই ওই হাই, হ্যালো করে চলে বের হয়ে আসতেন। বেশিক্ষণ থাকতেন না। যেখানে মানুষকে অসম্মান করা হয়, সেখানে দাদা যান না। দাদা নিজে কখনওই এটা করেন না।'
ঘটনা ব্যথিত রাম সিং আরও বলেন, ‘দাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) শুধু আমাদের ভরসা করেন না, অনেক সম্মানও দেন। আমাদের এখানে সুইপার, ড্রাইভার, সকলকেই দাদা অনেক সমাদর করেন। আমাকে দাদা নিজের ভাইয়ের মতো আমায় ভালোবাসেন। দাদার বাড়ির অনুষ্ঠানেও তো সকলে আসেন, দাদা কি কারোর জন্য Not Allowed লিখে রাখেন নাকি! ড্রাইভার, সুইপাররাও সকলেই আনন্দ করেন দাদার বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে। খুবই ছোট মানসিকতার কাজ এটা। কে যে এমন করা হল কে জানে!'