'সকালে ওখানকার আরও একটা শিবমন্দিরে গিয়েছিলাম। তবে পুজো দেওয়া হয়নি। তবে ওই প্রণামী দিয়েছি, আমরা একটু খুঁতখুঁতেও। শুদ্ধবস্ত্রে না গেলে পুজো ওভাবে দিই না। তবে অদ্ভুতভাবে তখনই ওখানে ভোগ দেওয়া হচ্ছিল। তো ড্রাইভার দাদা বললেন, ভোগ ভাগ্য করে পাওয়া যায়। তবে আমরা ভোগ পেয়েছি, মা আর আমি ভোগ খেয়েছি।’
পুজো দেওয়ার ভিডিয়ো দেখে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় সৌমিতৃষার সঙ্গে। আর তখনই অভিনেত্রী আমাদের জানান, ‘আমার যেখানে শ্যুটিং করছি, তার যাতায়াতের রাস্তাতেই মেটালি কালীবাড়ি পড়ে। আজ সকালে তাড়াতাড়ি প্য়াকআপ হয়ে গিয়েছিল, তাই মা আর আমি গিয়েছিলাম। গতকাল (বৃহস্পতিবার) যেহেতু আমাবস্যা গিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত ছিল। তবে গতকাল তো পুজো দিতে পারিনি। তাই আজ দিলাম। মা আর আমি গিয়েছিলাম। আজ (শুক্রবার) সকালে ওখানকার আরও একটা শিবমন্দিরে গিয়েছিলাম। তবে পুজো দেওয়া হয়নি। তবে ওই প্রণামী দিয়েছি, আমরা একটু খুঁতখুঁতেও। শুদ্ধবস্ত্রে না গেলে পুজো ওভাবে দিই না। তবে অদ্ভুতভাবে তখনই ওখানে ভোগ দেওয়া হচ্ছিল। তো ড্রাইভার দাদা বললেন, ভোগ ভাগ্য করে পাওয়া যায়। কারণ, এইসময় ভোগ দেওয়া হয়না। তবে আমরা ভোগ পেয়েছি, মা আর আমি ভোগ খেয়েছি।’ ডুয়ার্সে রয়েছে ১৫১ বছরের প্রাচীন এই মেটালি কালিবাড়ি। প্রসঙ্গত এর আগেও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বলেছিলেন 'আমি কৃষ্ণ ভক্ত, পুজো আমায় শান্তি দেয়'।
'প্রধান'-এর শ্যুটিং কেমন চলছে? এমন প্রশ্নে সৌমিতৃষা বলেন, ‘খুব ভালো হচ্ছে, হইহই করে কাজ হচ্ছে। এত্ত বড় ইউনিট, এতজন রয়েছেন দারুণ মজা করেই কাজ হচ্ছে। খালি বৃষ্টি হলে একটু সমস্যা হচ্ছে। অনেকসময় কিছু বাকি থেকে যাচ্ছে বৃষ্টির জন্য, সেটা পরেরদিন করতে হচ্ছে। এটাই যা, আর কোনও সমস্যা নেই।’ তবে শ্যুটিংয়ের বিষয়ে এখনই কিছুই বলতে পারবেন না বলে জানান অভিনেত্রী। বলেন, ‘শেষ হোক, হাউস থেকে অনুমতি আসুক, তারপর নিশ্চয় অনেক গল্প করব।’ সৌমিতৃষা বলেন, ‘আর দু-তিন বাকি আছে, তারপর কলকাতাতেও শ্যুটিং হবে।’