শত চেষ্টার পরেও জোড়া লাগল না ভাঙা সম্পর্ক। পাকাপাকিভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন ধনুশ ও ঐশ্বর্য রজনীকান্ত। সেইমতো বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ডিভোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পেলেন দক্ষিণী তারকা দম্পতি। এআর রহমান ও সায়রার পর আরও এক ‘গ্রে-ডিভোর্স’-এর ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায়।
২০২২ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রজনীকান্ত ও তাঁর সুপারস্টার স্বামী ধনুশ। আলাদা থাকলেও সেইসময় আইনি পথে হাঁটেননি দুজনে। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ১৩ বি ধারায় পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান তাঁরা ধনুশ-ঐশ্বর্য। সেই মতো গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের পারাপারিক আদালতে হাজিরাও দেন দুজনে। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করার পরেও শোনা গিয়েছিল, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছেন ধনুশ-ঐশ্বর্য। কারণ এই বিচ্ছেদ নিয়ে এক্কেবারেই খুশি নন 'থালাইভা' রজনীকান্ত। মেয়ে-জামাইকে মুখোমুখি বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি, চর্চা এমনটাই। তবে সব প্রয়াসই বৃথা।
তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিসেন ধনুশ এবং ঐশ্বর্য, তার জেরেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল হয়ত শেষপর্যন্ত বিয়েটা টিকে যাবে। কিন্ত গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। সেই মতোই আজ ডিভোর্স ডিক্রি হাতে পেলেন দুজনে।
দুই পুত্র সন্তানের বাবা-মা ধনুশ ও ঐশ্বর্য। তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণা অনেকের কাছেই মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। ২০২২ সালের ১৮ই জানুয়ারি বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন ধনুশ আর ঐশ্বর্য। যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। আমি আর ঐশ্বর্য আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে এতদিন থেকেছি। এবার নিজেদের নিজেদেরকে বোঝার পালা’।
২০০৪ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন ধনুশ ও প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বর্য। দুই ছেলে যাত্রা (২০০৬) ও লিঙ্গার (২০১০) বাবা-মা এই প্রাক্তন তারকা দম্পতি। ‘ভাই রাজা ভাই’, ‘৩'-র মতো ছবির পরিচালক ঐশ্বর্য। অন্যদিকে গত দেড় দশক ধরে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম লিডিং সুপারস্টার ধনুশ। দুজনের বড় ছেলের বয়স এখন ১৮, ছোট ছেলের ১৪। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর ছেলেদের স্কুলের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
জানা যায়, ধনুশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই রজনীকান্তের পরিচালক কন্যাও। ঐশ্বর্যর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সঙ্গে বাবার সুবিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তিনি। পারস্পরিক সম্মতিতে এই ডিভোর্স হয়েছে, খোরপোষের কোনও তথ্যই এখনও সামনে আসেনি।