ঘূর্ণিঝড় তাউটের প্রভাবে তছনছ গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূল, বানভাসি বহু এলাকা। করোনা আর অতি বৃষ্টির প্রকোপে যখন বিপর্যস্ত জনজীবন, তখন ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়লেন ‘দিয়া অর বাতি হাম’ খ্যাত অভিনেত্রী দীপিকা সিং গোয়েল। এবার সমালোচকদের প্রশ্নের জবাব দেন দীপিকা। তিনি বলেন, ‘অসংবেদনশীল হতে চাইনি’।ছবি শেয়ার করে দীপিকা লিখেছিলেন, ‘যখন তোমার পক্ষে ঝড়কে শান্ত করা সম্ভব নয়, তখন নিজেকে শান্ত করো। প্রকৃতিকে উপভোগ করো। কারণ, ঝড় ঠিক কেটে যাবে। আমার বাড়ির সামনে এই গাছ পড়ে গিয়েছিল। সরিয়ে ফেলার আগেই আমি আর দীপক তাউটের স্মৃতি রক্ষার জন্য কিছু ছবি তুলে নিয়েছি।’ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অভিনেত্রীর এই উচ্ছ্বাস ভালো মনে নেননি নেটাগরিকরা। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করার পর থেকেই চলেছে কড়া নিন্দা। সেই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি একটা গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটা ফ্ল্যাটে থাকি। এই গাছটা বহু বছর আগে আমার বাড়ির সামনে আমরা পুঁতেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সেটা ঘুর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়ে যায়। গাছটা আমাদের গাড়ির ওপর এসে পড়ে। তাই আমি এবং আমার স্বামী বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়েছিলাম সেটাকে গাড়ির ওপর থেকে সরানোর জন্য। সেই সময় আমার স্বামী কয়েকটা ছবি তোলার কথা বলে। এটা আচমকাই ছবি তুলি। আমার স্বামী একজন দারুণ ফটোগ্রাফার, তাই আমরা কয়েকটা ছবি তুলি’।তবে তিনি স্বীকার করেন এর মধ্যে এত উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। টেলি অভিনেত্রী বলেন, ‘যাঁরা ঘুর্ণিঝড়ে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমি তাঁদের কথা ভেবে দুঃখিত। আমি সত্যিই কোনো উপড়ে পড়া গাছ নিয়ে অসংবেদনশীল পোস্ট করার চেষ্টা করিনি। আমি কাউকে এই ধরণের কাজ করার জন্য উৎসাহ দেব না’।দীপিকা তার পোস্টে প্রকাশ করেছেন যে তার স্বামী রোহিত গোয়েল ছবিগুলি ক্লিক করেছেন এবং তার নাচের ভিডিওটি শ্যুট করেছেন। দীপিকাকে সম্প্রতি ‘দিয়া অর বাতি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।