সদ্য মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু'। ছবির সদস্যদের সঙ্গে সম্প্রতি একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে পার্টি লুকের ছবি শেয়ার করেছেন ‘বলি কুইন’। অফ-শোল্ডার জাফরান পোশাকে ছবিতে দেখা মিলেছে বলি ডিভার। ভারতীয় মহিলাদের পাশ্চাত্য পোশাক পরা নিয়ে বিরোধী মন্তব্য করার এক মাসেই মাথায় এই ছবিগুলি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাথায় পোনি টেইল করা কঙ্গনা। কানে সোনালি দুল, অফ-শোল্ডার জাফরান রঙের পোশাক এবং সোনালি রঙের হাই হিল পরেছেন। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘মা বললেন খেলার একটা সময় আছে আর পড়াশুনার একটা সময় আছে। (হাসি) আমার কথা হল কাজ করার একটা সময় আছে আর পার্টি করার একটা সময় আছে …বিশেষ করে যখন @manikarnikafilms এর প্রথম প্রযোজনা সুপার হিট হয়ে যায়, তখন এটা একটা গ্র্যান্ড পার্টি করার সময় (পার্টি পপার ইমোজি)’। তিনি হ্যাশট্যাগগুলিও যোগ করেছেন - টিকু ওয়েডস শেরু, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং অবনীত কৌর।
কঙ্গনার শেয়ার করা ছবিতে রাশি খান্নার মন্তব্য, ‘অত্যাশ্চর্য!’ গৌরী ও নৈনিকা লিখেছেন, ‘গর্জিয়াস’! একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘শুধু রানি, জানে কিভাবে আগুন ঝরাতে হয়’।
ইনস্টাগ্রামে ডায়েট সব্যর পেজ থেকে কঙ্গনার ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা, ‘মনে রাখবেন যখন তিনি বলেছিলেন তিনি ফ্যাশনকে ঘৃণা করেন (হাসির ইমোজি)। আহহ আগুন ঝরাচ্ছেন। ১০/১০। @gauriandnainika দুর্দান্ত। এটা বিরাট কিছু হতে পারে’!

ডায়েট সব্যর ইনস্টাগ্রাম স্টোরি
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পার্টির অন্দর থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। দেখুন-

কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি
উল্লেখ্য, গত এক মাস আগে 'এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন' ট্রেন্ডকে তুলোধনা করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অভিনেত্রীর মতে এই ট্রেন্ড উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য়। এতে শুধুমাত্র বিদেশি ডিজাইনারদের পকেট ভারী হয়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এয়ারপোর্ট লুকে নিজের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, 'এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন' ট্রেন্ড গা ভাসিয়ে নিজেদেরকে আমরা শুধুমাত্র মূর্খ প্রমাণ করি। এতে আমরা কেবল আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের পকেট ভরাতে পারি'।
তিনি আরও লেখেন, ‘এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন শুধুই বোকা বানানোর জন্য। এই ট্রেন্ড হয়তো আমাকে ফ্যাশনিস্তা হিসাবে আরও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রচার করতে উত্সাহিত করবে। কিন্তু এতে আমার নিজের লোকেরা যেমন তাঁতি এবং হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা ধীরে ধীরে আরও পিছিয়ে পড়ে। এতে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ধাক্কা খায়’। আরও লিখেছিলেন, 'একজন পশ্চিমা মহিলা হিসেবে যেন দেখতে লাগে তাঁকে, তাই মগজ ধোলাই করা হয়েছে তাঁর'।