'দ্য কেরালা স্টোরি', 'আদিপুরুষ'-এর পর এবার ‘৭২ হুরেঁ’ নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছবিটি সেন্সারের ছাড়পত্র পেলেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি ছবির ট্রেলারটিকে। ট্রেলার থেকে 'কোরান'-এর উল্লেখ এবং মৃতদেহের যে পা দেখানো হয়েছে, তা সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এদিকে এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসলাম কট্টরপন্থীরা আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন। ‘৭২ হুরেঁ’ নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছেন একাধিক মুসলিম নেতা এবং মৌলবী। তাঁদের দাবি, এই ছবি মুসলিম ধর্মাম্বলম্বীদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনবে।
এবার এই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ভোজপুরি অভিনেত্রী রানি চ্য়াটার্জি। যাঁর আসল নাম অবশ্য সাবিহা শেখ। ছবিটির বিতর্কিত ট্রেলার দেখার পর, রানির দাবি, এই ধরনের ছবি তৈরি করা সমাজের ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করার জন্য। তাঁর কথায়, এই ছবিতে কোরানকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কোরান কখনও কারোর জীবন নিতে শেখায় না। ৭২ হুরেঁর পরিচালক বা প্রযোজক যদি কোরান পড়তেন, তাহলে তাঁরা এমন সংলাপ ব্যবহার করতেন না।
আরও পড়ুন-‘আড়াই বছরে ক্লাস সেভেনে পড়তেন!’ এমনই কি বলে ফেললেন সন্দীপ্তা? ট্রোল করতে ছাড়ল না নেটপাড়া
রানির কথায়, ‘কেরালা স্টোরি হিট হওয়ার পর, লোকেরা এটাকেই ট্রেন্ড তৈরি করার চেষ্টা করছেন। রাজনীতি বা সিনেমার মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এই ধরনের ঘৃণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে আপনি কী অর্জন করতে চান? কোরান কোথায় মানুষকে হত্যা করতে বলে? আপনি কি আমাকে এটি দেখাতে পারবেন? সমাজে ভুল বার্তা পাঠানো হচ্ছে। এটি ঘৃণা ছড়ানো এজেন্ডা।’
রানি আরও প্রশ্ন, ‘আমি একজন মুসলিম। কিন্তু আপনি কি আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসী বলবেন? কেরালা স্টোরিতে দেখানো হয়েছে মেয়েদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। অথচ দক্ষিণে, মানুষ খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। কিন্তু কেউ চায় না এটা নিয়ে কথা হোক। আপনি একটা ইসলাম বিরোধী ছবি বানাচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ৭২ হুরেঁর হয়ত বক্স অফিসে ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়ছে। কিন্তু ছবির মাধ্য়মে আপনি যে ঘৃণা ছড়াবেন তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’ অভিনেত্রী আরও জিজ্ঞাসা।
প্রসঙ্গত রানি চট্টোপাধ্যায়, ‘শ্বশুরা বড় পয়সাওয়ালা’, 'সীতা', ‘দেবরা বড় সাতাওয়েলা’ এবং রানি নম্বর ৭৮৬ এর মতো ভোজপুরী ছবির জন্য পরিচিতি পেয়েছেন। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালের ভোজপুরী ছবি 'ছোটকি ঠাকুরাইনে'।