ব্লগ লেখা অমিতাভ বচ্চনের প্রতিদিনের অভ্যাস গত ১২ বছর ধরে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও থেমে থাকেনা বিগ বি’র ব্লগ। শুক্রবার তাঁর ব্লগে দুই প্রয়াত সহঅভিনেতা-শ্রীদেবী ও ইরফান খানকে স্মরণ করলেন শাহেনশা। স্মৃতির সরণি বেয়ে পৌঁছে গেলেন পিকু ও খুদা গাওয়ার সেটে। তিনি লেখেন, খুদা গাওয়ার ২৮ বছর..পিকুর ৫ বছর..ভীষণ উজ্জ্বল..স্মৃতির মধ্যে জীবন্ত..শুধু দু’জনে হারিয়েছি,যাঁদের উপস্থিতি এবং প্রতিভা অভাবনীয়..অথচ কত তাড়াতাড়ি চলে গেল’। না কোনও নাম উল্লেখ করেননি অমিতাভ, তবে বুঝতে বোধহয় খুব অসুবিধা হয় না তিনি বললেন শ্রীদেবী ও ইরফানের কথা, এই দুনিয়া ছেড়ে খুব জলদি চলে গেছেন এই দুই তারকা সে কথাই বারবার ঘুরে ফিরে আসছে অমিতাভের মনে। খুদা গাওয়ার পরিচালক মুকুল এস আনন্দের কথাও উঠে এল অমিতাভের স্মৃতিচারণায়। তিনি লেখেন, একজন তৃতীয় ব্যক্তিও আছেন খুদা গাওয়া থেকে.. পরিচালক মুকুল এস আনন্দ..খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন..ওর চোখে একটা জাদু ছিল..ওই চোখ দুটোই যেন ক্যামেরার লেন্স..এত একটা লম্বা সময় পরেও মনে হয় যে ফ্রেমগুলো ও তৈরি করেছিল সেগুলো অসম্ভব সুন্দর’।অমিতাভের ব্লগে উঠে এল সেই সব দিনের কথা যখন তিনি আফগানিস্তান ও কলকাতায় শ্যুটিং করেছেন। আফগানদের আতিথেয়তা এবং কলকাতার রাস্তায় বাই-সাইকেল চালানো আজও ভুলতে পারেনি বিগ বি। যখন কলকাতায় কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে ষাটের দশকে চাকরি করতে অমিতাভ তখনও কোনওদিন তিলোত্তমায় সাইকেল চালানো হয়নি তাঁর,সেই আক্ষেপ মিটেছে সুজিত সরকার ও পিকুর সুবাদে। অমিতাভ এদিন এমনটাও জানান তাঁর স্মৃতি এতটাই প্রগাঢ় আর এই স্মৃতির ভাঁড়ার এতটাই বিস্তৃত অনেকসময়ই তিনি ভাবেন বই লিখবেন। কিন্তু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, ভিতরের থেকেই কোনও এক আওয়াজ তাঁকে বাঁধা দেয়। যদিও তাঁর প্রয়াত পিতা, কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের কাজগুলি একত্রিত করতে বদ্ধপরিকর অমিতাভ বচ্চন।অমিতাভ লেখেন- সবাই বলে স্মৃতিগুলো এখন বেঁচে রয়েছে তাই সেগুলো পাতায় বন্দি করে ফেলতে আমি সহমত হয় কিন্তু তবুও একটা দ্বিধা কাজ করে...যেন অন্তরআত্মার আওয়াজ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়..হয়ত আমি এটার যোগ্য নই..বাবুজির অনেক কাজই তাঁর সঠিক মূল্য পায়নি..হয়ত এটাই হয়ত দুনিয়ার নিময়..কিন্তু তাঁর সন্তানকে কাজ করতে হবে তাঁকে মনে রাখতে হবে,ব্যাখ্যা করতে হবে, তাঁর কাজকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে..উনি মহান’।অমিতাভ এদিন এমনটাও জানান তাঁর স্মৃতি এতটাই প্রগাঢ় আর এই স্মৃতির ভাঁড়ার এতটাই বিস্তৃত অনেকসময়ই তিনি ভাবেন বই লিখবেন। কিন্তু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, ভিতরের থেকেই কোনও এক আওয়াজ তাঁকে বাঁধা দেয়। যদিও তাঁর প্রয়াত পিতা, কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের কাজগুলি একত্রিত করতে বদ্ধপরিকর অমিতাভ বচ্চন।অমিতাভ লেখেন- সবাই বলে স্মৃতিগুলো এখন বেঁচে রয়েছে তাই সেগুলো পাতায় বন্দি করে ফেলতে আমি সহমত হয় কিন্তু তবুও একটা দ্বিধা কাজ করে...যেন অন্তরআত্মার আওয়াজ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়..হয়ত আমি এটার যোগ্য নই..বাবুজির অনেক কাজই তাঁর সঠিক মূল্য পায়নি..হয়ত এটাই হয়ত দুনিয়ার নিময়..কিন্তু তাঁর সন্তানকে কাজ করতে হবে তাঁকে মনে রাখতে হবে,ব্যাখ্যা করতে হবে, তাঁর কাজকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে..উনি মহান’।