মঙ্গলবার ডিভোর্সের জল্পনায় শিলমোহর দিয়েছেন ভরত আর এষা। তবে হিরে ব্যবসায়ীর ফেসবুক থেকে নেটিজেনদের ধারণা তিনি বুঝি এই বিয়েটাই টিকিয়ে রাখতে চান!
ডিভোর্স চাইছেন না এষা আর ভরত?
বলিউডে বিয়ে ভাঙাগড়ার গল্প নতুন কিছু নয়। তবে হেমা মালিনি কন্যা এষা দেওলের বিচ্ছেদের খবর নতুন করে সাড়া ফেলে দিয়েছে। মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে, বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন এষা আর পেশায় হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানি। বলতে শোনা যায়, ‘আমরা পারস্পরিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একসঙ্গে তোলা সব ফোটো মুছে ফেলেছেন এষা দেওল। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল ভরত তখতানি কিন্তু মোছেননি প্রাক্তন স্ত্রীর সব চিহ্ন। বরং, এখনও ফেসবুক কভার স্টোরিতে জ্বলজ্বল করছে দুজনের একসঙ্গে তোলা একটি ছবি। তাহলে কি এখনও সব মিটমাট হওয়ার আশা রাখছেন ভরত?
হেমা মালিনি-কন্যা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এক ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতায় প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁর আর ভরতের। তার ১০ বছর পর আমেরিকায় পুণরায় দেখা হয়। এবং তখন থেকেই প্রেমের শুরু। তবে শোনা যাচ্ছে, ১২ বছর পর সেই বিয়েতেই ধরেছে ভাঙন।
এদিকে এষা আর ভরত ডিভোর্সের ঘোষণা করার পর থেকেই অভিনেত্রীর লেখা বইয়ের থেকে কিছু কথা-কে মানুষ তুলে ধরতে শুরু করেছেন ডিভোর্সের কারণ হিসেবে। যেখানে এষা লিখেছিলেন, দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর থেকে নিজেকে ‘অবহেলিত’ বোধ করছিলেন ভরত। ২০২০ সালে বইটি লেখেন এষা। যার নাম ছিল Amma Mia: Stories, Advice and Recipes। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার দ্বিতীয় সন্তানের পরে, অল্প সময়ের মধ্যে আমি লক্ষ্য করি যে, ভরত আমার সঙ্গে খামখেয়ালী আচরণ করছে, যেন সে বিরক্ত। আসলে ও অনুভব করেছিল যে, আমি তাঁকে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছি না। একজন স্বামীর পক্ষে এইরকম অনুভব করাটা খুবই স্বাভাবিক কারণ সেই সময়, আমি রাধ্যার প্লে স্কুল এবং মিরায়াকে খাওয়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম।’
২০১২ সালে বিয়ে হয়েছিল ভরত আর এষার। ২০১৭ সালে দম্পতির কোল আলো করে আসে প্রথম সন্তান রাধ্যা। আর তারও দু বছর পর জন্ম মীরায়া। এরপর ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সামনে আসে ডিভোর্সের ঘোষণা। তারকাদের আরও এক রূপকথার সফরের ইতি প্রত্যক্ষ করে আমজনতা।