কিছুদিন আগেই কর্নাটকে শো করতে গিয়ে কন্নড় ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন সোনু নিগম। জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। এবার একটি সাবানের বিজ্ঞাপনে চুক্তি স্বাক্ষর করে সমস্যায় পড়লেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। যদিও অভিনেত্রীর হয়ে মাঠে নেমেছে কর্ণাটক সরকার।
কী ঘটেছে?
সম্প্রতি কর্ণাটকের বিখ্যাত একটি সাবান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। ২ বছরের জন্য ৬. ২০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তিনি। কিন্তু এই খবর শোনার পর থেকেই গোটা বিষয়টি একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি কর্ণাটকবাসী।
আরও পড়ুন: পরনে লাল শাড়ি, মাথা ভর্তি সিঁদুর, কানে অদিতিকে নববধূর সাজে দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
আরও পড়ুন: নিষ্পাপ ভালোবাসার গল্প জুড়ে ৯০ দশকের নস্টালজিয়া! প্রকাশ্যে রাসের ট্রেলার, কবে মুক্তি?
তামান্না ভাটিয়ার সাবানের ব্র্যান্ডের চুক্তি স্বাক্ষর করার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানার পর থেকেই X -(টুইটারএ) বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন কর্ণাটকের বাসিন্দারা । একজন বলেন, ‘এত কন্নড় অভিনেত্রী থাকা সত্ত্বেও কেন তামান্না ভাটিয়াকে চুক্তি স্বাক্ষর করানো হলো?’ দ্বিতীয় জন বলেন, ‘প্রণীতাকে নেওয়া যেত না? কর্নাটকের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর পরিচিত মুখ তিনি।’ অন্য একজন প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘শ্রীনিধি, রশ্মিকা থাকা সত্ত্বেও তামান্নাকে কেন এই সুযোগ দেওয়া হল?’
তামান্নার চুক্তি স্বাক্ষর করা নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা কর্ণাটক তখনই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে মুখ খুললেন কর্নাটকের শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী এমবি পাতিল। X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তামান্না বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় ভীষণ পরিচিত একটি মুখ। মাইসোর স্যান্ডেল কর্ণাটকের খুব পরিচিত একটি প্রসাধনী সংস্থা হলেও সারা দেশের বাজারে সংস্থাকে পরিচয় করানোর জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: একসূত্রে বাঁধা ৩ গল্প! ভরা সন্ধ্যাতেও ভয় ধরাল অমৃতা-রূপাঞ্জনাদের ভূতপূর্ব রূপ, প্রকাশ্যে ছবির ঝলক
আরও পড়ুন: অক্ষয় বা সানির ছবি নয়, এপ্রিলে সবথেকে বেশি আয় করেছে কোন অভিনেতার সিনেমা?
মন্ত্রী আরও লেখেন, ‘এই সাবান আমাদের রাজ্যের গর্ব। কর্ণাটকের বাইরেও যাতে এই সংস্থা পৌঁছে যায় তার জন্যই তামান্নাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনে তামান্নার জনপ্রিয়তা প্রচুর। সারা দেশের ক্রেতাদের বাজারমুখী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যথাযথ বলে মনে করেছেন সরকার।’
উল্লেখ্য, মহীশূরের রাজা কৃষ্ণ রাজা ওয়াদিয়া ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি সাবান কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সাল থেকে কারখানায় তৈরি হওয়া মহীশূর চন্দন সাবান তৈরি হয়ে আসছে, যার জনপ্রিয়তা এক বিন্দু কোনওদিন কমেনি। কর্ণাটক শোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেড দ্বারা নির্মিত এই সাবানটি বহু বছর ধরে কর্নাটকের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বহন করে আসছে।