২০১৮ সালে তৃণমূল নেতা দেবরাজকে বিয়ে করেন গায়িকা অদিতি মুন্সি। তারপর পা রাখেন রাজনীতিতে। বর্তমানে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি।
এখনও কি বিয়ের প্রস্তাব আসে অদিতি মুন্সির কাছে?
মিষ্টি হাসি, লক্ষ্মী ঠাকুরের মতো ছোটখাটো চেহারার অদিতি মুন্সি পাকাপোক্ত জায়গা করে আছেন বাংলার মানুষের মনে। যদিও গায়িকা হিসেবে তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, তিনি তৃণমূল দলের বিধায়ক। তবে রাজনীতি উপেক্ষা করেই অদিতির কীর্তনের সুরে ভাসতেই বেশি পছন্দ করেন মানুষ। বিভোর হয় তাঁর কীর্তন গানের সুরে। বিয়ে হয়ে গিয়েছে সেই ২০১৮ সালে। এখনও কি এই মিষ্টি মেয়েটির কাছে আসে বিয়ের প্রস্তাব?
অদিতির স্বামীও কিন্তু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় গায়িকার ২০১৮ সালে। দলের মধ্যে বেশ ভালো অবস্থান দেবরাজ, মমতার ভাইপো দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁর।
বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল অদিতি আর দেবরাজের। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অদিতিকে বিধায়ক পদের প্রার্থী হওয়ার টিকিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি।
এত মিষ্টি গায়িকার গানেই কি সবাই মুগ্ধ হয়, রূপে হয় না? আসে নাকি বিয়ের প্রস্তাব? টিভিনাইনে দিলেন জবাব। একটু যেন আঁতকেই উঠেছিলেন তিনি। জবাব দেন, ‘হ্যাঁ-অ্যা… কী বলছেন, তখন আসেনি, এখন আসবে… দূর-দূরান্তে সম্ভাবনাই নেই কোনও।’ এই তখন বলতে, খুব সম্ভবত কুমারী সময়েরই কথা বলছিলেন।
২০২৩-এর ৩০ নভেম্বর অদিতি আর দেবরাজের রাজারহাটের বাড়ি-তে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলেছিল সেই কাজ। এমনকী, এরপর দেবরাজকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই অফিসাররা গিয়েছিল অদিতির গানের স্টুডিয়োতেও।
কিছুদিন আগে আবার অদিতির মৃত্যুর ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে গায়িকা জানিয়েছিলেন, ‘এই প্রথম হয়ত লাইভে এসে আমায় একথা বলতে হচ্ছে যে আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি, আমি গান গাইছি। আমার বাড়িতে তো সকলে চিন্তুত হয়ে পড়েছিলেন, আমি বললাম, যাঁরা আনন্দ পাচ্ছে, তারা এসব করছে। আমরা যেমন গান গেয়ে, কৃষ্ণনাম নিয়ে আনন্দ পাই…’