এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, তাঁর প্রথম ছবি যেটা বড় রিলিজ করল সেই লাভইয়াপা-এর প্রচারের সময়, খুশি কাপুরের সহ-অভিনেতা এবং সহকর্মী স্টার কিড জুনায়েদ খান জানিয়েছিলেন যে তিনি শৈশবে ডিস্লেক্সিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ভাইরাল হওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ বলেছিলেন, ‘বাবা-মা আমির খান ও রিনা দত্ত আমাকে খুব সাপোর্ট করেছেন।’ স্টার সন্তান আরও উল্লেখ করেছিলেন যে তার অভিনেতা-চলচ্চিত্র নির্মাতা বাবা এমনকি ২০০৭ সালের চলচ্চিত্র তারে জামিন পর তৈরি করেছিলেন যা ডিস্লেক্সিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করেছিল। ছবির সিক্যুয়েল সিতারে জমিন পারের মুক্তির আগে প্রথমবার জুনায়েদের ডিস্লেক্সিয়া রোগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আমির।
আমির খান, যিনি বর্তমানে তাঁর এবং জেনেলিয়া দেশমুখের বহু প্রতীক্ষিত সিতারে জমিন পরের প্রচারে ব্যস্ত, তিনি শেয়ার করেছেন যে কীভাবে তারে জামিন পরের গল্পটি প্রথম শোনার পরে তাকে খুব আঘাত করেছিল। কারণ তার ছেলে জুনায়েদ খান যখন বড় হচ্ছিলেন তখন অভিনেতাও একই অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাম শঙ্কর নিকুম্ভ চরিত্রটি তাঁর ছাত্র ঈশান অবস্তির যতটা সহায়ক ছিলেন, আমির কি ততটাই সহায়তা করেছিলেন তাঁর সন্তানকে? জানা যায় যে শুরুতে ছেলেকে সাহায্য করেননি তিনি। আমির বলেন, ‘আমি শুরুতে নন্দকিশোর অবস্তির মতো ছিলাম (তারে জমিন পরে ঈশানের বাবা)। আমি জুনায়েদকে বকাঝকা করতাম।’
আমিরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘তো আমি তাকে বলতাম, জুনায়েদ, কেউ কীভাবে এত খারাপ লিখতে পারে? এটাও কেউ পড়তে পারবে না। এটা কি? তুমি এ লিখতেও পারো না? কি হচ্ছে এসব? আমি সত্যিই তাকে জিজ্ঞাসা করতাম। আর যখন পড়ত তখন জন্য না বলে বলত থেকে। যখনই ও কোনও এফ দেখতেন, ও কেবল শব্দটি অনুমান করত - থেকে, জন্য। ঠিকমতো পড়তে পারত না। তাই আমি তাকে বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করতাম এবং আমিও বিভ্রান্ত হয়ে পড়তাম- এত সহজ বিষয় সে না বুঝলে চলবে কী করে? পরে জানতে পারি ওর ডিসলেক্সিয়া আছে। অবশ্যই, আমরা ওকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছি। কিন্তু যখন গল্পটা শুনেছিলাম তখন মনে হচ্ছিল এটা আমার গল্প। এটা আমার খুব কাছাকাছি ছিল।’
বছরের পর বছর ধরে আমির তার ছেলে জুনায়েদের পাশাপাশি একজন বাবা হিসাবে বেড়ে উঠেছেন। ২০ শে জুন সিতারে জমিন পর বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে, এই ছবির জন্য দর্শকরা মুখিয়ে আছেন।