সম্প্রতি, একটি প্রদর্শনী দাবা খেলায় অংশগ্ৰহণ করেছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ এবং আমির খান। করোনার ত্রাণ তহবিলে অর্থ সংগ্রহের জন্যই এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচ থেকে যে টাকা উপার্জন করা হয়েছিল, তার সবটাই করোনায় আক্রান্তদের সাহায্যে কাজে লাগানো হয়েছে।একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগ্যেই ভার্চুয়ালি এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচের পর এটা সেটা নানান প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন আমির। এমন সময় ওঠে গ্র্যান্ডমাস্টার আনন্দের বায়োপিকের প্রসঙ্গ।এক ব্যক্তি আমিরের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন যে বিশ্বনাথন আনন্দের বায়োপিকে মুখ্যভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে আমির তাতে রাজি হবেন কি না। সঙ্গে সঙ্গে সেই জবাব দিয়েছেন বলিউডের 'মিঃ পারফেকশনিস্ট।' আমির বলে ওঠেন, ' এটা একটা প্রশ্ন হলো? 'ভিশি'-র চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে তা শুধুমাত্র আমার জন্য সম্মানের হবে না বরং দারুণ একটি ব্যাপার হবে। 'ভিশি' কেমন করে চিন্তাভাবনা করে বা কীভাবে প্রস্তুত রাখেন নিজেকে,এসব জানতে পারাটাও তো বিরাট একটা ব্যাপার। তাছাড়া আমি যখনই আমি পর্দায় কোনও চরিত্রে অভিনয় করি, আমার সবসময় লক্ষ্য থাকে চরিত্রটি এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ভাবছে বা কী করতে পারে সেই অনুযায়ী অভিনয় করা। আর এক্ষেত্রে তো 'ভিশি' জলজ্যান্ত রক্ত মাংসের মানুষ। তাই অনেক বেশি সময় তাঁর সঙ্গে কাটাতে চাই। বুঝতে চাই ওই যে বললাম কেমন করে ও চিন্তাভানা করে। মানে প্রক্রিয়াটা আর কী!' বক্তব্য শেষে মজা করে আমিরের মন্তব্য, 'পর্দায় 'ভিশি' হিসেবে উপস্থিত হতে পারলে আশা করি ও নিজেই আমাকে দেখে চমকে যাবে। তাই সেই চেষ্টা করার জন্য পর্দায় একবার হাজির হতে পারলে মন্দ হয় না কিন্তু।'অন্যদিকে, চুপ করে থাকেননি স্বয়ং বিশ্বনাথন আনন্দ-ও। সবাইকে চমকে দিয়ে বলে ওঠেন, 'সেসব তো ঠিক আছে। কিন্তু আমির আমি তোমাকে এটুকু কথা দিতে পারি যে সেই চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তোমাকে আমি আর মোটা হওয়ার সুযোগ দেব না!' পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুখে নিজেকে নিয়ে করা এই মজাদার কথা শুনে ততক্ষণে হাসির রোল উঠেছে আমির থেকে শুরু করে দর্শকদের মধ্যে।প্রসঙ্গত, আনন্দ এল রাই এবং মহাবীর জৈনর প্রযোজনায় তৈরী হবে বিশ্বনাথন আনন্দের এই বায়োপিক। বর্তমানে জোরকদমে এগোচ্ছে ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ। এবার তো শুধু সময়ই বলবে 'ভিশি'-র বায়োপিকে আমির হাজির হন কি না।