বলিউডের এই অভিনেত্রীর কর্মজীবনে রোমান্স ও নাটক কেবলমাত্র পর্দায় সীমাবদ্ধ ছিল না। ছবির বাইরেও তাঁর সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা তাঁকে কেবলমাত্র মানসিকভাবে আঘাত করেনি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে। একদিকে যেখানে একজন গায়ক তাঁর বিবাহ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, অন্যদিকে ছবির সেটে সহ-অভিনেতার সঙ্গে বিবাদ তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করেছে।
চুম্বনের দৃশ্য
মাধুরী দীক্ষিতের কথা বলছি। ‘দয়াবান’ ছবির সেটে বিনোদ খান্না এবং মাধুরী দীক্ষিতের মধ্যে যে বিতর্কিত চুম্বনের দৃশ্যটি ঘটেছিল তা আজও আলোচনার বিষয়। ছবির পরিচালক ফিরোজ খান ‘কাট’ বলার পরেও বিনোদ খান্না চুম্বনের দৃশ্যটি চালিয়ে গিয়েছিলেন, যার ফলে মাধুরীর ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর মাধুরী কেঁদে ফেলেছিলেন এবং পরিচালকের কাছে দৃশ্যটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের পরেও দৃশ্যটি সরানো হয়নি। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সেই সময় বিনোদ খান্নার বয়স ছিল ৪১ বছর এবং মাধুরীর ২০ বছর।
আমির খান কেন থুথু দিয়েছিলেন?
১৯৯০ সালের ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিল’ এর সেটে আমির খান এবং মাধুরী দীক্ষিতের মধ্যে যে প্র্যাঙ্কটি হয়েছিল তা কোনও অ্যাকশন দৃশ্যের চেয়ে কম ছিল না। হাত দেখে ভবিষ্যৎ বলার অজুহাতে আমির মাধুরীর হাতে থুথু ফেলেছিলেন, যার ফলে মাধুরী রেগে গিয়েছিলেন এবং হকি স্টিক নিয়ে তাঁর পিছনে ছুটে গিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে মাধুরী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে মজার মুহূর্ত ছিল যখন আমি কাউকে হকি স্টিক দিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলাম।’
সুরেশ ওয়াড়েকর কেন মাধুরীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?
মাধুরী দীক্ষিতের জীবনের আর এক বেদনাদায়ক মুহূর্তটি তখন এসেছিল যখন বলিউডের বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক সুরেশ ওয়াড়েকর তাঁর বিবাহ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি মাধুরীকে ‘খুব রোগা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই ঘটনাটি কেবলমাত্র মাধুরীকে মানসিকভাবে আঘাত করেনি, বরং তাঁর পরিবারকেও শোকে ডুবিয়ে দিয়েছিল।