রাজনীতির ময়দানে যশের থেকে অনেকখানি সিনিয়ার দেব। দু'বার লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে জয়ী হয়েছেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দেব। গতবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেবের পদচিহ্ন অনুসরণ করে রাজনীতিতে এসেছেন নুসরত-মিমিও। এবার তালিকায় যোগ হল আরও একটা নাম, যশ দাশগুপ্ত। তবে এখানে দল এক নয়, জোড়াফুলে নয় পদ্মবনে যশ-প্রাপ্তি ঘটেছে। যশের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে গত চব্বিশ ঘন্টায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগের যশের বিজেপিতে যোগদানকে বিজেপির বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরমাঝেই বৃহস্পতিবার যশকে রাজনীতির ময়দানে স্বাগত জানালেন তৃণমূল সাংসদ দেব। সৌজন্যের রাজনীতিতে সবার চেয়ে দু'পা এগিয়ে থাকেন দেব। দেবের রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের তারিফ না করে থাকতে পারবেন না, তাঁর সমালোচকরাও। রাজনীতির ময়দানে সৌজন্যবোধে বাকিদের হামেশাই টেক্কা দেন ‘চ্যালেঞ্জ’ তারকা। দিন কয়েক আগেই টুইট বার্তায় সৌমিত্র খাঁ-কে সৌজন্যের পাঠ পড়িয়ে ছিলেন দেব। যশের বিজেপি যোগদান নিয়ে যখন টলিউডে বেশ চাপানউতোর চলছে তখন দেব লিখলেন, ‘ভাই রাজনীতির দুনিয়ায় স্বাগত। তুমি কোন দল বা মতাদর্শে বিশ্বাস রাখো সেটা কোনও আলোচ্য বিষয় নয় এখানে, আমার শুভকামনা সবসময় তোমার সঙ্গে রয়েছে’। দেবের এই টুইট, রিটুইট করে যশ পালটা লেখেন, ‘ ধন্যবাদ বন্ধু… তাতে কী আমাদের মতাদর্শ মেলে না তো, আমাদের লক্ষ্যটা কিন্তু শেষমেষ একই… মানুষের জন্য কাজ করা’।বিজেপিতে যোগ দিলেও ‘দিদি’র বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে চান না যশ। কারণ এখনো নিজেকে দিদির ভাই মনে করেন বিজেপির সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নামা রাজনীতির ময়দানের এই তরুণ তুর্কি। বুধবার সন্ধ্যায় গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে যশ বলেন, ‘দিদিকে নিয়ে আমার মনে এখনো শ্রদ্ধা আছে। আমি ওই মহিলাকে অনেক ভালবাসি। আমি এখনো নিজেকে ওনার ভাই মনে করি। বিজেপিতে যোগ দিয়েছি বলে আমি ওনার সম্পর্কে কোনও ভুল মন্তব্য করবো না। আজ সকালে ওকে এসএমএস করে রাজনৈতিক জীবনে সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ চেয়েছি।