কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট কমান্ডান্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন।মঙ্গলবার কালচিনির সভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন,‘আপনারা জানেন, আজ হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ভোট হচ্ছে। সকাল থেকে বিএসএফ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুন্ডামির খবর পাচ্ছি। বলছে, বিজেপিকে ভোট দাও।আরামবাগে আমাদের দলের প্রার্থী সুজাতা খাঁয়ের নিরাপত্তারক্ষীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। খানাকুলে আমাদের দলের প্রার্থী নাজিমুলকে মারধর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি ১০০টি অভিযোগ করেছি।’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে তো ভোট করানো হচ্ছে। কিন্তু এরমধ্যেই তো সাত থেকে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।এরমধ্যে আটজনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তাহলে তো কেন্দ্রীয় বাহিনাকে দিয়ে ভোট করিয়ে লাভ কী হল! পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও তো এত লোক মারা যাননি।’ তৃণমূল নেত্রী অভিযোগের সুরেই বলেন, কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এসেছিলেনি। নাড্ডা এসে দেখেছে, এখানে লোক হচ্ছে না। তাই এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে বিজেপির গুণ্ডাদের কাজে লাগিয়ে বুথ দখল করতে চাইছে।' কালচিনিতে উপস্থিত সকল দলীয় সমর্থকদের তৃণমূল নেত্রী সতর্ক করে দেন, তারাও যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারে সজাগ থাকে।পাশাপাশি অসম থেকে লোক ঢুকিয়ে যাতে এখানে ভোট করাতে না পারে, সেবিষয়েও সতর্ক করে দেন তৃণমূল নেত্রী। আলিপুরদুয়ারের সব প্রার্থীকে জেতানোর আর্জি জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন,‘আমাদের প্রার্থীকে জেতান, আপনার বাড়ির দরজায় রেশন পৌঁছে দেব। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। যাঁরা এখনও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করেননি, করিয়ে নিন।আগামিদিনে এই এলাকায় আরও উন্নয়ন হবে। পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। তরাই, ডুয়ার্সেও শান্তি ফিরে এসেছে। এক এক করে আমাদের সব প্রার্থীকে জেতান। তাহলে আমরা সরকার গড়তে পারব।’