খাস কলকাতায় এবার ভোটারদের হুমকি দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ভাট–অষ্টমীর দিনে উত্তর কলকাতার নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচনে কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মানিকতলার কাদাপাড়া শীতলামন্দির এলাকায় ভোটারদের হুমকি দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকী এক বৃদ্ধা ভোটারকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই বৃদ্ধা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি, ‘আবার শীতলকুচি করব!’ এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার পর মানিকতলাতেই বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। আর তাতেই পুলিশ–কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। গো–ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, এলাকায় গোলমাল পাকাতে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কল্যাণের পাল্টা অভিযোগ, ইচ্ছে করে মানিকতলায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মন্থর করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মানিকতলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। তাঁর অভিযোগ, এই এলাকার মানুষ আমার পরিবার। আর কল্যাণ চৌবে এখানে এসে মহিলা কাউন্সিলরের গলা টিপে ধরেছেন। এত অসভ্য প্রার্থী আগে কখনও দেখিনি।’ এরপরই খবর আসে, চৌরঙ্গি বিধানসভায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী দেবদত্ত মাঝি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভোট দেন। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা ব্যবস্থায় আমি খুশি।’ রাজ্যপালের এই প্রশংসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ইন্ধন জুগিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।