দলের হয়ে ডায়মন্ড হারবারে প্রচারে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।কিন্তু তার শনিবারের সভায় ভিড় করলেন না—দলেরই কর্মী সমর্থকেরা। ফাঁকাই পড়ে রইল আসন। তাই নিয়ে এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ওই সভার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, সভামঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন আদিত্যনাথ। কিন্তু দর্শকাসনের ২৫ শতাংশও লোক ভরেনি। অধিকাংশ চেয়ার দর্শকশূন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ভিডিয়োটির উপরে ডেরেক ব্যাঙ্গাত্মকভাবে লেখেন, ‘ বাংলার ডায়মন্ড হারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী(অজয় বিষ্ট)’র ভালবাসায় পড়েছে।’ কটাক্ষের সুরে নীচে আরও লেখেন, ‘কত ভালবাসা, কত স্নেহ।’এদিন সভা থেকে যোগী আদিত্যনাথ একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা যেমন তুলে ধরলেন, তেমনই তাঁর ভাষণে বারবার উচ্চারিত হয় তৃণমূলের আমলে ‘গুন্ডারাজ’-এর প্রসঙ্গ। যোগী বললেন, ‘দিদি এখন গেরুয়া বসন দেখে ভয় পেতে শুরু করেছেন।’ যে উন্নয়নের খতিয়ান তৃণমূলের প্রচারের মূল হাতিয়ার, সেই উন্নয়ন দিয়েই তৃণমূলকে বিঁধতে চাইলেন যোগী। বললেন, ‘বঙ্গে অরাজকতা চালাচ্ছে তৃণমূল। উন্নয়নে রুচি নেই দিদির। বাংলায় রোজগার নেই, কর্মসংস্থান নেই। তৃণমূলের গুন্ডারা উন্নয়নের টাকা জোর করে গরিব মানুষের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার আম্ফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। সেই সূত্রেই সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিকাশ কামিলার প্রচার সভায় যোগীর দাবি, ‘আমফানের পর ক্ষতিপূরণ হিসাবে মোদীজি ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার তৃণমূলের গুণ্ডারা তা আত্মসাৎ করেছে। জনতার হাতে কোনও টাকাই পৌঁছয়নি। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মানুষের হাতে টাকা পৌঁছতে দেয়নি।’উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় কী কী সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সেই তালিকাও তুলে ধরে যোগী বলেন, ‘এই সুবিধাগুলো বাংলার মানুষ কেন পেল না—দিদির কাছে সেটা জানতে চাই।’